হুমায়ুন কবির সূর্য, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে এক নামধারী সাংবাদিকসহ ৪ ছিনতাইকারীকে আটক করেছে পুলিশের যৌথ টিম। চাঞ্চল্যকর বিকাশ এজেন্টের ১৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত খাদেমুল ইসলাম লাল চৌকশ নামে একটি পত্রিকার প্রতিনিধি এবং নাগেশ^রী রিপোর্টার্স ক্লাবের সহ-সাধারণ সম্পাদক। সাংবাদিক পরিচয়ে কিছু সহকর্মীকে নিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজী করাই ছিল তাদের আসল পেশা। টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় সোমবার ভোররাতে মূল পরিকল্পনাকারী রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়াল চার’এ।
সোমবার দুপুর আড়াইটার সময় কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের উদ্যোগে পুলিশ লাইন হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন ভূরুঙ্গামারী সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার মোর্শেদুল হাসান পিপিএম।
তিনি জানান, কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে বিকাশ এজেন্টের ১৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী রুহুল আমিন, সহযোগী প্রসেনজিৎ রায়, খাদেমুল ইসলাম ও মোন্নাফ আলীসহ ৪ ছিনতাইকারীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়াও ছিনতাইয়ে ব্যবহ্নত একটি পালসার মোটর সাইকেল, ৩টি মোবাইল ও ছিনতাইকৃত ১৫ লাখ টাকার মধ্যে ৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা উদ্ধার করতে সমর্থ হয়েছে পুলিশের যৌথটিম। বাকী টাকা উদ্ধারে পুলিশ কাজ করছে।
প্রেস ব্রিফিং-এ আরো জানানো হয়, গত রবিবার বিকাশ এজেন্ট জনতা ট্রেডার্স কর্মী শুভ কুমার রায় ও বিদ্যুৎচন্দ্র বর্মণ ভূরুঙ্গামারী ইসলামী ব্যাংক শাখা থেকে ১৫ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে মোটর সাইকেলযোগে কচাকাটা যাচ্ছিল। পথিমধ্যে লক্ষ্মীরমোড়ে ছিনতাইকারীরা ফিল্মী স্টাইলে মোটর সাইকেলটিকে ধাক্কা দিলে আরোহীরা পরে যায়। এসময় ছিনতাইকারীরা টাকা ভর্তি ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় বিকাশ কর্মীরা চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। অবস্থা বেগতিক দেখে ছিনতাইকারীরা কচাকাটার দিকে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশে খবর দেয়া হলে ভূরুঙ্গামারী ও কচাকাটা থানা পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে বিকেলেই কচাকাটা থানার বলদিয়া ইউনিয়নের ছনবান্দা এলাকা থেকে দুই ছিনতাইকারী খাদেমুল ইসলাম লাল ও প্রসেনজিৎকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের দেয়া তথ্যে সহযোগী মোন্নাফকে আটক করে। গ্রেপ্তারকৃতদের সাথে কথা বলে মূল পরিকল্পনাকারী রুহুল আমিনকে সোমবার ভোর রাতে নাগেশ^রী থেকে আটক করে পুলিশের চৌকষ টিম। ছিনতাইকারীরা সকলেই নাগেশ^রী উপজেলার বাসিন্দা।
এই ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশ দ্রুততম সময়ে অভিযুক্তদের সনাক্ত করতে সমর্থ হয়। প্রায় অর্ধেক টাকা উদ্ধার করা গেলেও বাকী টাকা উদ্ধার করা কতটুকু সম্ভব হবে এনিয়ে দুই বিকাশ কর্মী রয়েছেন চরম আশংকায়।