ঢাকা সংবাদদাতাঃ
বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানী বলেছেন, আওয়ামী লীগ জনগনের ভোটে ভয় পায়। এজন্য গত ৫ জানুয়ারী নির্বাচনে আগে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ১৫৪ টি আসনে নিজেদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করেছিলো। তারপরে ভোট দিয়েছে। এবারেও সেই পথে হাঁটছে আওয়ামী লীগ। তবে এবার ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার সুযোগ দেয়া হবে না তাদের, বলেও জানান তিনি।
শুক্রবার নীলফামারীর ডোমারের ডাকবাংলো মিলনায়তনে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ডেমার উপজেলা আয়োজিত সংবাদিকেদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, দলীয় ব্যক্তি নিজের দলের পক্ষে কাজ করবেন এটা স্বাভাবিক। তাই দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠ নির্বাচন সম্ভব নয়। সাধারণ জনগনও তাই বিশ্বাস করে। ২০ দলীয় জোট নেত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া দেশে ফিরলেই সহায়ক সরকারের প্রস্তাব উপস্থাপন করবেন। জনগন তা স্বাগত জানাবে।
জেবেল গানি বলেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্বব নয়। তাই আগে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে সকল দলের অংশগ্রহণে অবাধ সুষ্ঠ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে। ২০ দলীয় জোট আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেই সাথে নির্বাচনের প্রস্তুতিও চালিয়ে যাচ্ছে।ডোমার উপজেলা যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার ওয়ালিদ সাবু’র সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া। উপস্থিত ছিলেন দলের নীলফামারী জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ওয়াহিদুর রহমান, ডিমলা উপজেলা আহ্বায়ক শাহ আজিজুল ইসলাম, সদস্য সচিব মোফাক্কারুল ইসলাম পেলব, ভাসানী সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিষদ ডিমলা উপজেলা আহ্বায়ক আবদুল মান্নান, ন্যাপ ডোমার উপজেলা যুগ্ম আহ্বায়ক জগবন্ধু রায় প্রমুখ।
জেবেল রহমান গানি আরো বলেন, জোটগতভাবেই আওয়ামী অপশাসন মোকাবেলা করা হবে। জনগনের অধিকার ফিরিয়ে দেয়া হবে। ২০ দলীয় জোটগতভাবেই নির্বাচন করা হবে। বিনা চ্যালেঞ্জে আওয়ামী লীগকে ছেড়ে দেয়া হবে না।
তিনি দেশ ও জাতির বৃহত্তর কল্যাণে সবাইকে প্রতিহিংসা, প্রতিশোধ ও বিভেদের রাজনীতি পরিহার করে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগের পায়ের নিচে মাটি নেই। ভোটাধিকার হরণকারী এই সরকার সম্পূর্ণভাবে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনার মধ্যে অন্যতম একটি বিষয় ছিল বহু দলীয় গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা। স্বাধীনতা অর্জনের ৪৫ বছর পরও আমাদের গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, বাক স্বাধীনতা ও স্বাভাবিক মৃত্যুর নিরাপত্তা চেয়ে সংগ্রাম করতে হচ্ছে। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে এই সংগ্রামে জয়লাভ করতে পারলেই রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের এই স্বাধীনতা অর্থবহ হবে।
তিনি বলেন, সহায়ক সরকার ছাড়া কোন নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। সরকার যদি বিরোধী দলের সহায়ক সরকারের দাবীকে উপেক্ষা করে আবারো ৫ জানুয়ারীর মত একদলীয় নির্বাচনের পথে হাটে তাহলে তাদের অনেক মূল্য দিতে হতে পারে।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন সহায়ক সরকারের অধিনেই অনুষ্ঠিত হতে হবে। আর গণতন্ত্রের স্বার্থেই সরকারকে বিরোধী দলের সহায়ক সরকারের দাবী মেনে নেয়া উচিত। ২০ দলীয় জোটের প্রধান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া লন্ডন থেকে দেশে ফিরেই জাতির সামনে সহায়ক সরকারের রুপরেখা পেশ করবেন।