রেজাউল করিম, রাজশাহীঃ
আগামী ২৫ আগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনার টিকা প্রয়োগ। এ জন্য ইতোমধ্যে রাজশাহীতে দেড় লাখ ডোজ টিকা এসেছে। এখন শুরু হয়েছে টিকা প্রয়োগের প্রস্তুতি।

প্রথমে সিটি করপোরেশন এলাকায় টিকা প্রয়োগ শুরু করতে চায় স্বাস্থ্য বিভাগ। এরপর জেলা শহর এবং উপজেলা পর্যায়ে শুরু হবে টিকা প্রয়োগ।

স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, শিশুদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি ফাইজারের এই টিকা গ্রহণের জন্যও জন্ম নিবন্ধন কার্ড দিয়ে সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন করতে হবে। এক্ষেত্রে শিশুদের জন্ম নিবন্ধনের ১৭ ডিজিটের নম্বরটি দিতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শিশুদের টিকা দেবে স্বাস্থ্য বিভাগ। ফলে খুব সহজেই টিকাদান কর্মসূচির বাস্তবায়ন হবে।

রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. আবু সাঈদ মোহাম্মদ ফারুক জানান, টিকাদান কার্যক্রম শুরু করার জন্য শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে স্কুলগুলোকে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। বিশেষায়িত টিকা রাজশাহী বিভাগীয় মজুত বিভাগের সংরক্ষণাগারে চলেও এসেছে। কার্যক্রম শুরুর আগে চাহিদা দেওয়া হলেই সেখান থেকে স্বাস্থ্য বিভাগে টিকা সরবরাহ করা হবে।

এর আগে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বুথের সমস্যা দেখা যায়। সব স্কুলে এসি না থাকার কারণে কার্যক্রম বাস্তবায়নে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। তবে এবার সেই সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।

তিনি বলেন, এবারের এই টিকা দেওয়ার জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গাড়ি কিংবা বুথের প্রয়োজন নেই। সাধারণ তাপমাত্রাতেই দেওয়া যাবে।

রাজশাহী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুস সালাম জানান, তারা শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহের কাজ করছেন। দু’একদিনের মধ্যে তালিকা প্রস্তুত হওয়ার পর তা স্বাস্থ্য বিভাগকে দেওয়া হবে। তারপর স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করেই টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদার জানান, তারা ইতোমধ্যে দেড় লাখ ডোজ টিকা পেয়েছেন। আগামী ২৫ আগস্ট প্রথমে রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। তারপর জেলা শহর এবং পরে উপজেলা পর্যায়ে টিকা দেওয়া হবে। টিকার সরবরাহের ওপর ভিত্তি করে এই কার্যক্রমকে এগিয়ে নেওয়া হবে।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম জানান, টিকা প্রদানের জন্য তারা ইতোমধ্যে শহরের স্কুলগুলোতে বার্তা পাঠিয়েছেন। স্কুলগুলো প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারাও প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আগামী সোমবার একটি সভা করে এর রূপরেখা ঠিক করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *