রৌমারী প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার সময় এক যুবককে আটক করে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। মঙ্গলবার সকালে তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করেছে বিজিবি।
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মর্তুজা এই তথ্য জানিয়েছেন।
নিহত বৃদ্ধ বশির উদ্দিন (৮২) উপজেলার উত্তর কাউনিয়ার চর গ্রামের হেশকারী শেখের ছেলে। আটক নুর আলম (৩০) ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার কলিম উদ্দিনের ছেলে। বশির উদ্দিন সম্পর্কে তাঁর খালু। কয়েক দিন ধরে তিনি বশিরের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।
বশিরের মেয়ে মাহমুদা আক্তার বলেন, ‘কাজের সুবাদে নুর আলম ভারতে থাকে। সেখান থেকে সে বৈধ-অবৈধ পথে বাংলাদেশে যাতায়াত করত। দুই সপ্তাহ আগে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে সে রৌমারীর উত্তর কাউনিয়ারচরে আমাদের বাড়ি আসে। এখানে কয়েক দিন থাকার পর ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়িতে যায়। চার দিন আগে তার মাকে নিয়ে আবার আমাদের বাড়ি আসে। রাতে অসুস্থ আব্বার সঙ্গে একই বিছানায় ঘুমাত সে। গতকাল সোমবার রাতে সে আব্বাকে মেরে সীমান্ত পথে পালিয়ে যায়।’
মাহমুদা আক্তার আরও বলেন, ‘নুর আলমের কথাবার্তা অসংলগ্ন ছিল। সে অসুস্থ কিনা সেটাও ঠিক জানি না। গত দুই রাত থেকে সে আব্বার সঙ্গে থাকছিল। রাতে ঘুমায় না। সোমবার রাত ১টার দিকেও আমি দেখেছি আব্বা ভালো আছেন। রাত সাড়ে ৩টার দিকে নুর আলম চিল্লায় চিল্লায় বলতেছে, “খালু মারা গেইছে।” আমরা আসি দেখি আব্বার শরীরে রক্ত। আমরা আটকানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু ওই ঘুষি দিয়া নিজেক ছটকে নিয়া ভারতে পালায় গেছিল। পরে বিএসএফ আটক করি ফেরত দিছে।’ তবে কী কারণে বশিরকে হত্যা করা হয়েছে তা জানাতে পারেননি মাহমুদা।
স্থানীয় দাঁতভাঙা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি ওই বাড়িতে গিয়ে জানতে পারি, অসুস্থ বশিরকে মেরে ফেলা হয়েছে।’
বিজিবি জানায়, গতকাল রাতে সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার সময় বিএসএফের হাতে আটক হয় নুর আলম। আজ সকালে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আটক নুর আলমকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ। পরে তাঁকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মর্তুজা বলেন, নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বিজিবি আটক যুবককে পুলিশে হস্তান্তর করেছে।