মোঃ নুরনবী ইসলাম, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় আত্রাই নদীর ভাঙন দেখা দিয়েছ। এতে উপজেলার ভাবকি ইউনিয়নের চাকিনীয়া গ্রামে প্রায় ২০০ একর আবাদি কৃষি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি ও চলাচলের একমাত্র রাস্তা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ভাবকি ইউনিয়নের পশ্চিম-দক্ষিণে অবস্থিত চাকিনীয়া গ্রামে আত্রাই নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে গেছে। এতে সম্প্রতি নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রায় ২০০ একর আবাদি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় মানুষের জীবিকা নির্বাহের এতমাত্র সম্বল কৃষি জমি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এছাড়াও প্রতিদিন ভাঙ্গনের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর পাশ দিয়ে চলাচলের একমাত্র সড়ক ও বসবাসরত দেড় শতাধিক বাড়ির লোকজন চরম দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন।
স্থানীয়রা জানান, গত দুই বছর আগে বর্ষাকালে হঠাৎ করে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে আমাদের আবাদি জমির ওপর দিয়ে স্রোত যায়। এতে প্রায় আমাদের প্রায় ২০ একর আবাদী জমি নদীতে পরিণত হয়ে যায়। এরপর গতবছর বর্ষাকালে আবারো প্রায় ১০০ একর জমি নদীতে বিলীন হয়ে যায়। আর এ বছর ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে একেবারে আমাদের বাড়ির কাছে এসে পৌছেছে। এমনকি নদীর পাশ দিয়ে চলাচলের একমাত্র রাস্তা যেকোন সময় ভেঙে যেতে পারে। বাড়িঘর গুলো নিয়ে হুমকির মধ্যে রয়েছে। নদী ভাঙ্গন রোধে ও বাড়িঘর রক্ষার জন্য নদীতে বাঁধ নির্মাণের জন্য স্থানীয় লোকজন সাংসদ ও প্রশাসনকে জানিয়েছে।
স্থানীয় পশিরদ্দীন জানান, আমার ১৪ বিঘা জমি নদীতে চলে গেছে। এতে সংসার চালানো নিয়ে হিমসিম খেতে হচ্ছে।
আঃ গনি বলেন, আমার ৩ বিঘা জমি চাষ করে সংসার চলত। এ বছর নদীতে সেই শেষ সম্বল জমি ও গাছপালা বিলীন হয়ে গেছে। বর্তমানে এখন বাড়ি নিয়ে প্রতিনিয়ত হুমকির মধ্যে রয়েছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মকবুল হোসেন বলেন, আমারও ৫ বিঘা জমি নদীতে চলে গেছে। নদী ভাঙ্গন রোধে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের পরামর্শে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানিয়েছি।
ভাবকি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল আলম তুহিন বলেন, বিষয়টি আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে নদী ভাঙ্গন রোধে একটা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।