পরিতোষ কুমার বৈদ্য শ্যামনগর(সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ উপকূলীয় অঞ্চলকে দুর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করার দাবী জানিয়েছেন শ্যামনগর উপজেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরাম। ১৮ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) বিকাল ৩:০০ টায় লিডার্স শাখা অফিসে শ্যামনগর উপজেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের আয়োজনে এবং বেসরকারী উন্নয়ন সংগঠন লিডার্স এর সহযোগিতায় এই জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের অর্ধবার্ষিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অর্ধবার্ষিক সমন্বয় সভায় সভাপতিত্ব করেন ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার নজরুল ইসলাম, আরও উপস্থিত ছিলেন ফোরামের সম্পাদক, শিক্ষক ও সাংবাদিক রনজিত বর্মণ, বীর মক্তিযোদ্ধা কমান্ডার দেবীরঞ্জন মন্ডল, সদস্য ও আতরজান মহিলা মহাবিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মানবেন্দ্র দেবনাথ, সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আশরাফ, ফোরামের সদস্য ও মহিলা ইউপি সদস্য দেলোয়ারা বেগম সহ ফোরামের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ। উপস্থিত সকল সদস্যদের উপস্থিতিতে ৯ সদস্য বিশিষ্ট ফোরামের কার্যকরী কমিটি পুনর্গঠন করা হয়। এ সময় লিডার্স এর প্রতিনিধি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন লিডার্স এর প্রকল্প সমন্বয়কারী জি. এম মোশারাফ হোসেন।
বক্তারা বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে উপকূলে বাড়ছে সংকট। এই সংকট কৃষি, পানি ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে আরও ব্যাপক হারে বাড়ছে। উপকূলীয় অঞ্চলের এই সংকট বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে ভিন্ন। এখানে মানুষকে দুর্যোগের সাথে লড়াই করে বেঁচে থাকতে হয়। দুর্যোগের সাথে লড়াই করে টিকে থাকতে না পেরে শত শত মানুষ নিজ বাসভূমি ছেড়ে অন্যত্র পাড়ি জমাচ্ছে।”
উপকূলীয় বেড়িবাঁধ নির্মানের প্রস্তাব তুলে ধরে বক্তারা আরও বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলে বেড়িবাঁধ নির্মানের জন্য একনেকে যে বাজেট অনুমোদন হয়েছে তার কাজ এখনও শুরু হয়নি। বর্ষা মৌসুমে আবারও বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে এলাকা ডুবে মানুষের স্বপ্ন তলিয়ে যাবে। এটা অমানবিক।
বক্তারা আরও বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে জীবন-জীবিকা, সম্পদ, খাদ্য, পানি, বাসস্থান, কৃষির উপর নেতিবাচক প্রভাব উপকূলীয় মানষকে বিষিয়ে তুলেছে। আজ মানুষ অসহায় হয়ে সরকারের কাছে বার বার উপকূল রক্ষার আবেদন তুলে ধরেছে। কিন্তু এখনও এর কোন সমাধান আসেনি। উপকূলের মানুষ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য সরকারের কাছে উপকূলীয় অঞ্চলকে দুর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করার দাবী করছি।”