নূর-ই-আলম সিদ্দিক,কচাকাটা প্রতিনিধি#
এবার ঈদে খুশি নাই বাপ,বানের পানি সব খুশি ভাইসা নিয়া গেছে ! ভাবছিলাম প্রতিবারের মতো এবারেরও সবজি বিক্রি কইরা কোরবানি দিমু,কিন্তু সেই আশা পূর্ণ হলনা,কোরবানি আসার আগেই বন্যার পানিতে আমার সব আশার যেন কোরবানি হইয়া গেল,৪৮ শতক সবজি বাগানে একটা সবজির গাছ বাঁচে নাই,বন্যার পানিতে ডুবে সব শেষ। বৌ বাচ্চা নিয়া ঈদ-সংসার ক্যামনে চালামু ভাবলে মাথা চক্কর দিয়া ওঠে বারবার। সরেজমিনে জানতে চাইলে মরে যাওয়া সবজি বাগানের শুকনো ডাল-পাতাগুলো মাচা হতে নামাতে নামাতে এসব বলেন-নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা ইউনিয়নের জালিরচর গ্রামের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সবজি চাষি উমর আলী। সে সাথে তিনি আরো বলেন,বন্যায় তার সবজি ক্ষেত নষ্ট না হলে এই সবজি থেকেই তার এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা আয় হত। সেই আয় থেকে বঞ্চিত হওয়ায় উমর আলীর চোখে মুখে এখন হতাশার ছাপ। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাকে পূনর্বাসনে তাকে কোন সহযোগিতা প্রদান করলে তিনি পূনরায় সবজি চাষাবাদ করে তার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে আমার সংবাদ’র কাছে আশা ব্যক্ত করেন এই সবজি চাষি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামসুজ্জামান সবজি চাষে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আগাম আলু,পালংশাক,ধনিয়াপাতা চাষ করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, বর্ষা মৌসুম শেষে শেষে প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসনে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন