শেখ সাইফুল ইসলাম কবির
:বাগেরহাটের ঐতিহ্যবাহী ষাট গম্বুজ মসজিদের পচা দিঘিতে বড়শি দিয়ে মাছ ধরার উৎসবে মেতেছিলেন হাজারেরও বেশি সৌখিন মাছ শিকারি। দিনভর তারা বড়শি ফেলে মাছ ধরেছেন ওই দিঘিতে।

শুক্রবার (৬ নভেম্বর) ভোরেই বিভিন্ন জেলা থেকে আসা মাছ শিকারিরা দিঘির পারে ভিড় জমান। এরপর বিশাল দিঘির ১৪০টি ঘাটে শুরু হয় মাছ ধরার উৎসব। সৌখিন শিকারিরা সারাদিন বড়শি ফেলে নানা প্রজাতির শত মণেরও বেশি মাছ শিকার করেছেন।

এই আয়োজনে মাছ শিকারিদের পাশাপাশি দর্শনার্থীদেরও ঢল নেমেছিল। ঐতিহ্যবাহী এই দিঘিতে ধরা পড়েছে সর্বোচ্চ ৮ কেজি ওজনের রুই, কাতলাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ।

স্থানীয়রা জানান, ঐতিহ্যবাহী পচা দিঘিতে মাছ শিকার করতে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, ফরিদপুর ও বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সৌখিন মাছ শিকারিরা এসেছেন। ঘাটপ্রতি ৮ হাজার টাকা দামের টিকিটে শিকারিরা মাছ ধরায় অংশ নেন।

বরিশাল থেকে আসা মাছ শিকারি রাজু হাওলাদার বলেন, আমরা একটি ঘাটে ৯ সদস্য বিশিষ্ট টিম মাছ ধরেছি। বৃহস্পতিবার গলাচিপায় মাছ ধরা শেষ করে, রাতেই বাগেরহাটে এসেছি। পচা দিঘিতে ভালই মাছ পেয়েছি।

ফরিদপুর থেকে আসা শিকারি সাইদুর রহমান বলেন, মাছ বেশি পাওয়া না পাওয়া কোন বিষয় নয়, মাছ ধরা যেন নেশায় পরিণত হয়েছে। আমরা যেখানেই মাছ ধরার জন্য টিকিটের খবর পাই, সেখানেই ছুটে যাই।

সুমাইয়া, রফিকুল ইসলাম, মোস্তাফিজসহ কয়েকজন দর্শনার্থী বলেন, সকাল থেকে আমরা মাছ ধরা দেখতে দিঘিতে এসেছি। এত বড় দিঘিতে মাছ ধরার মজাই আলাদা। একসাথে অনেক মানুষ বড়শি ফেলে মাছ ধরেছে, সারাক্ষণই কারো না কারো বড়শিতে মাছ উঠছিল, যা আমাদেরকে মুগ্ধ করেছে।

আয়োজকদের পক্ষে মো. পাপ্পু বলেন, মাছ শিকারিদের চাহিদা মতো সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। অংশগ্রহণকারীরা এখানে মাছ শিকার করে সাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। জেলা প্রশাসন থেকে ইজারা নিয়ে আমরা এই দিঘিতে মাছ ছেড়েছি। এখানে মাছ ধরার জন্য সব সময় শিকারিরা মুখিয়ে থাকেন। তারা মাছও ভাল শিকার করেন। এবারও সর্বোচ্চ ৮ কেজি ওজনের মাছ অনেকেই পেয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন