কচাকাটা প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের কচাকাটা থানার কেদার ইউনিয়নের গোলেরহাট গ্রামে বিয়ে বাড়ীতে কনের গহনা নিয়ে বাদানুবাদে এক সংঘর্ষের ঘটনায় কনের দাদী নিহত হলে পুলিশ বরসহ ১১জনকে আটক করে জেলহাজতে পাঠায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কচাকাটা থানার গোলেরহাট গ্রামের নুরজামাল ইসলামের মেয়ে জেসমিন আক্তার(১৮)এর সাথে পাশর্^বর্তী ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়নের বানুরকুটি গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা আলিম উদ্দিনের ছেলে রাইসুল ইসলাম রিপন(২৫)এর ১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে বিয়ে রেজিস্ট্রি হয়। ভোজ শেষে কনে সাজাতে গিয়ে বর পক্ষের প্রতিশ্রæতি অনুযায়ী দুটি গহনা না দেয়ায় দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। পরে তা সংঘর্ষে রুপ নেয়।সংঘর্ষের সময় বর পক্ষের হামলায় কনের দাদী তহুরন নেছা গুরুতর আহত হলে তাকে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়। খবর পেয়ে কচাকাটা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বরসহ ১১জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। শুক্রবার কনে জেসমিনের পিতা নুরজামাল বরের বড় ভাই মিজানুর রহমান মিজু,তার স্ত্রী আনজিনা বেগমসহ ১২ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশ নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় এবং আটককৃত ১১জনকে জেলহাজতে পাঠায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কচাকাটা থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মর্তুজা জানান, নিহতের পুত্র নুরজামাল থানায় মামলা দায়েরের পর আটককৃতদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।