ভোলাহাট(চাঁপাইনবাবগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাটে দরিদ্র গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে কথিত বিচারকেরা ধর্ষকের কাছে ঘুষ নিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে ১০১ দোররা মারায় আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, ১১ মার্চ রাত প্রায় ১১টার দিকে উপজেলার জামবাড়ীয়া ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের মোতাহার হোসেনের ছেলে ফারুক(২৩) একই উপজেলার ও ইউনিয়নের বড়ইগাছী ভাটাপাড়া গ্রামের বাহার আলীর স্ত্রী হালিমা বেগম(২৩) তার নিজ বাড়ীতে শুয়ে থাকা অবস্থায় কৌশলে প্রবেশ করে অবৈধ মেলা-মেশা করার অপরাধে এ গৃহবধূকে রাতেই বেধড়ক পিটিয়ে তড়িঘড়ি করে ১নং ওয়ার্ড মেম্বর ইব্রাহীম,৭নং ওয়ার্ড মেম্বর আব্দুস সামাদ, ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বর সিহাব ও ৮নং ওয়ার্ড মেম্বর জিন্নাত এ রাতেই ধর্ষক ফারুকের বাবা-মার কাছ তার ছেলেকে কোন প্রকার মারপিট করা হবে না এবং অর্থদন্ড করা হবে না প্রতিশ্র“তি দিয়ে নগদ ২০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে ধর্ষককে ছাড়িয়ে দেন তারা। পরদিন ১২ মার্চ সকাল ১০টার সময় এ গৃহবধূর বাড়ীর সামনে কথিত আদালত বসিয়ে ৭নং ওয়ার্ড মেম্বর কথিত প্রধান বিচারপতি ও তার বেঞ্চে ঘুষ গ্রহণকারীরা ১,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বরেরা গ্রামপুলিশ মোস্তফাকে দিয়ে ২য় দফায় আবার পিটায় গৃহবধূকে। ফলে গৃহবধূ ঘটনাস্থলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তারপরও কথিত বিচারকদের বিচার থেমে থাকেনি। কথিত রায়ে গৃহবধূ হালিমাকে ও ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ফারুককে মারা হয় ১০১ দোররা। গৃহবধূকে অর্থদন্ড করা হয় ৬ হাজার এবং অভিযুক্ত ধর্ষককে অর্থদন্ড করা হয় ২২ হাজার টাকা। অভিযোগ উঠেছে ঘুষ, অর্থদন্ডর মোট ৪৮ হাজার টাকার সবগুলোই লুটপাট করেছেন এ কথিত বিচারকেরা। এদিকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় গৃহবধূ হালিমা চিকিৎসার জন্য ভোলাহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। এ ঘটনায় কথিত প্রধান বিচারপতিসহ অন্যান্যদের সাথে যোগাযোগ করা হলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং গৃহবধূকে পতিতা বলে অভিযোগ করেন। এদিকে নির্যাতিতা গৃহবধূ হালিমা জানান, তিনি এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভোলাহাট থানায় মামলা করেছেন। ভোলাহাট থসার অফিসার ইনচার্জ মহসীন আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে থানায় মামলার বিষয়টি স্বীকার করেন এবং ২২ মার্চ রাতে সিহাব নামের জামবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড মেম্বরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। বাঁকী অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন