কবি- আবদুল খালেক
আজও মনে পড়ে সেই উন-সত্তরের সময়
ভর্তি হলাম বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
ছিলাম সেথায় আবাসিক সোহরাওয়ার্দী হলে
সেই কথা আজ মনের মাঝে স্মৃতি হয়ে জ্বলে।
সেই বি-ব্লকের দুই শত ষোলো নম্বর রুমে
সময় কাটতো গল্প কথায় পড়াশুনা ও ঘুমে।
সেই রুমে তিনজন মোরা প্রকৌশলের ছাত্র
ছিলাম সেথা বেশিদিন নয় সাত বছর মাত্র।
আলম ছিল আমার ব্যাচের, ছিল কাসেম ভাই
আলম ছিল গাইবান্ধার, কাসেম ভাই চাঁপাই।
আমি ছিলাম সিরাজগঞ্জের চৌহালীর ছেলে
বাড়ি থেকে যেতাম আমি লঞ্চে আর রেলে।
পাশের রুমের আজাদ আমার বন্ধ ু সহপাঠী
আলম আর তাকে নিয়ে যেতাম ক্লাসে হাঁটি।
বন্ধ ু ছিল আউয়াল, জহির, আক্তার ও সরদার
বন্ধ ু ছিল তালেব, সেলিম, আর ছামাদ পোদ্দার।
ইস্ট-মেসে খাবার খেতাম, ছিল বিখ্যাত ডাল
গামলার মাঝে ডাল খুঁজতে ফেলতে হতো জাল।
মাসের শেষে মান্থলি ডিনার ছিল খুবই ভালো
কমনরুমে ডিনার হতো জ্বলতো রঙিন আলো।
সেই পড়া শেষে আমরা যখন ইঞ্জিনিয়ার হলাম
সেই হল থেকে বিদায় নিয়ে কর্মক্ষেত্রে গেলাম।
সেই হলের সাথে সকল বাঁধন ছিন্ন হয়ে গেলো
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল কোথায় পড়ে রইলো।
সোনালী সেই দিনগুলো যে কোথায় গেল হায় !
সেই সব কথা মনে হলে মন উদাস হয়ে যায়॥