কুড়িগ্রাম  প্রতিনিধি:-
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় সেনাবাহীনির তত্ব্যাবধায়নে নির্মিত আবাসনের ১৪টি বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।  নদী ভাঙনে বিলিন হয়েছে তিনটি। উপজেলা ত্রাণ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ২০০৪ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত নির্মিত এসব আবাসন ইতিমধ্যে প্রাকৃতিক বিপর্যয় এবং বয়সের ভারে জরার্জীণ হয়ে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এসব আবসনের মধ্যে রয়েছে রায়গঞ্জ ইউনিয়নে রাঙ্গালীরবস,পূর্বরায়গঞ্জ,কমলারকুটি, নারায়নপুর ইউনিয়নে ঝাউকুটি, পদ্মারচর,পাখিউড়া, কালার চর, নুনখাওয়া ইউনিয়নে কালিকাপুর মন্ডল পাড়া, চর পাটতলা, চরকাপনা আজগার-জলিল, চর নুনখাওয়া, বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের চরলুছনি, বেরুবাড়ি ইউনিয়নের চরবেরুবাড়ি, কালিগঞ্জ ইউনিয়নের কমেদপুর খয়রাত জামান,সন্তোষপুর ইউনিয়নের চিলাখানা, রামখানা ইউনিয়নের আজমাতা এবং কচাকাটা ইউনিয়নের শৌলমারী আবাসন।

এরমধ্যে নারায়নপুর ইউনিয়নের পাখিউড়া আবাসন ব্রহ্মপুত্র এবং নুনখাওয়া ইউনিয়নের চরপাটতলা ও চর নুনখাওয়া দুধকুমার নদের ভাঙনে বিলিন হয়ে গেছে।

রায়গঞ্জ ইউনিয়নের রাঙ্গালিরবস ও পূর্ব রায়গঞ্জ আবাসনে গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ ঘর বয়সের ভারে জরাজির্ণ হয়ে পড়েছে। ২০০৪ সালে নির্মিত এসব ঘরের চালের টিন ফুটো হয়ে গেছে। বেড়া ভেঙ্গে গেছে। এখানকার বাসিন্দারা প্লাষ্টিকের কাগজ দিয়ে কোনমতে রোদ বৃষ্টির হাত থেকে বাচঁার চেষ্টা করছে। শাহজাহান, সাবুল, আব্দুল, হাফিজ জানান, প্রতিটা ঘরই থাকার অনুপযুক্ত। চালের ফুটো দিয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে, বেড়া ভেঙ্গে যাওয়ায় শীতে কষ্ট করতে হয় তাদের। এখন আর এসব ঘরে কেউ থাকতে চায়না। অনেকে গরুছাগল এবং খড়ি  রাখার কাজে ব্যবহার করছে।

২০১২ সালে ৪২ জন সুবিধাভোগীদের জন্য নির্মিত কচাকাটা ইউনিয়নের শৌলমারী আবাসনটি পরের বছর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এতে আবাসনের উত্তর ও দক্ষিন প্রান্তের ১৫টি ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়। বাকিগুলোর অবস্থাও ভালো না।

কচাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ মির্জা জানান, ২০/২৫টি ঘরে মানুষ বসবাস করছে। বাকিগুলো বসবাসের অনুপযোগী। কিছু কিছু ঘরের টিন খুলে নিয়ে গেছে গ্রামবাসী।
রায়গঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আ.স.ম আব্দুল্লাহ আল ওয়ালিদ মাছুম জানান, তার ইউনিয়নে তিনটি আবসনই বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে দুটি বয়সের ভারে একেবারে জরাজীর্ণ। এগুলো সংস্কার করা দরকার। 

নুনখাওয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাহাবুল ইসলাম জানান, দুটি আবসন ইতিমধ্যে দুধকুমার নদের ভাঙ্গনে বিলিন হয়েছে। আরেকটিতে ১০/১২টি পরিবার বসবাস করছেন। তবে সেটির অবস্থাও ভালোনা। সংস্কারের জন্য অনেকবার যোগাযোগ করেও লাভ হয়নি। 

নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার্ নূর আহমেদ মাছুম জানান, সংস্কার উপযোগী আবসনগুলো তালিকা করে প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে এগুলো সংস্কার করা হবে।

 
 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *