কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
রৌমারীতে আওয়ামীলীগ নেতা কর্তৃক এক শিক্ষককে পিটিয়ে আহতের ঘটনার কয়েকদিন পরেই কুড়িগ্রামে শিক্ষককে লাঞ্চিত করলেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
কুড়িগ্রামে ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত নিতে এসে এক পর্যায়ে কুড়িগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো. আব্দুল হাই সিদ্দিকীর উপর চড়াও হয়ে তাকে লাঞ্চিত করলেন কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান জেলা বিএনপি’র ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক এবং শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো. মাসুদ রানা।
রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিয়াসমিন আরা হক’র কক্ষে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটে। সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা এ দৃশ্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জেলা জুড়ে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। এ ঘটনায় নির্যাতিত শিক্ষক বাদি হয়ে ৪জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামার বিরুদ্ধে কুড়িগ্রাম সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
তবে অভিযুক্ত মাসুদ রানা ঘটনা অস্বীকার করে বলেন লাঞ্চিত করার কোন ঘটনা ঘটেনি। তর্কবিতর্ক হয়েছে।
স্কুলে ভর্তির বিষয়ে অভিভাবকগণ শিক্ষার্থীদের নামে একাধিক আবেদন করায় ঢাকায় মন্ত্রণালয় থেকে ৪২জন শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করে দেয়া হয়। এনিয়ে কিছু অভিভাবক কথা বলতে গিয়ে আমার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। এরই প্রতিবাদ করায় সিনিয়র সহকারি শিক্ষক আব্দুল হাই সিদ্দিকীর উপর চড়াও হন অভিভাবক মাসুদ রানা। তিনি অকথ্য ভাষায় কথা বলতে বলতে তাকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে এক কোনায় নিয়ে যান। এ ব্যাপারে মাসুদ রানাসহ, অভিভাবক মো. রুমন মিয়া, আমিনুর রহমান ও মো. বিদ্যুৎ’র নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো কয়েকজনের নামে কুড়িগ্রাম সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।