কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
           সারাদেশের ন্যায় কুড়িগ্রামেও শহরগুলোতে কড়াকড়িভাবে লকডাউন পালিত হচ্ছে। বিচ্ছিন্নভাবে কিছু অটোরিক্সা ও জরুরী প্রয়োজনে ব্যবহ্নত গাড়ি ছাড়া রাস্তা-ঘাট প্রায় শূন্য রয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে মার্কেটগুলো। শহরাঞ্চলের কড়াকড়ি লকডাউন পালিত হলেও গ্রামাঞ্চলে এর প্রভাব সেভাবে পরেনি। সেখানে হাটবাজারগুলোতে ভীড়বাট্টা লেগেই আছে। ফলে দুরকম চিত্র দেখা যাচ্ছে শহর ও গ্রামাঞ্চলে।
           বৃহস্পতিবার (১জুলাই) দুপুরে লকডাউন পরিস্থিতি পরির্দশনে কুড়িগ্রাম শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবি’র পরিচালক লে. কর্ণেল জামাল উদ্দিন, রংপুর ৬৬ পদাতিক ডিভিশন ৩০ সেনার কুড়িগ্রামের অধিনায়ক মেজর আবুল হাসানাত, পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা, সদর ইউএনও নিলুফা ইয়াছমিন, পৌর মেয়র কাজিউল ইসলামসহ আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যগণ। এসময় নিষেধ অমান্য করে মহাসড়কে ব্যাটারী চালিত অটো রিক্সা চালানোর দায়ে ৩ অটোচালককে দুইদিন করে জেল এবং মাস্ক না পড়া ও দোকান খোলা রাখার কারণে ব্যক্তি ও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান মিলে ১০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
লকডাউন পরিস্থিতি মনিটরিংয়ে জেলায় ৪ প্লাটুন সেনাবাহিনী, ২ প্লাটুন বিজিবি ও পুলিশ বিভাগসহ অন্যান্য আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যগণ মাঠে থাকবে বলে জেলা প্রশাসক নিশ্চিত করেন। দুপুরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিমসহ সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ বিভাগ পৌরসভা এলাকা ঘুরে দেখেন। এসময় ঘোষপাড়া, দাদামোড়, জিয়া বাজার, কাপড়পট্টি, ধরলা ব্রীজ ও ত্রিমোহণী বাজার এলাকায় পরির্দশন করা হয়। বিচ্ছিন্নভাবে কিছু দোকানপাট খোলা থাকলেও গাড়ির বহর দেখার সাথে সাথে সেগুলোর সাটার বন্ধ হয়ে যায়।
           জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে ৭জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত লকডাউন কার্যকর করতে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ বিভাগ সবাই সমন্বিতভাবে মানুষকে যাতে ঘরে রাখা যায় সেজন্য কাজ করছি। আমরা সবাইকে অনুরোধ করবো আপনারা সচেতন থাকবেন, মাক্স পরুন এবং ঘরে থাকুন। যেহেতু আমরা বড় ধরণের সংক্রমনের দিকে ধাবিত হচ্ছি। এটি কমিয়ে আনার জন্য একমাত্র পথ হচ্ছে ঘরে থাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *