কুড়িগ্রাম থেকে মোঃ রফিকুল ইসলাম ॥
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রেকর্ড রুমের ইন্টারনেট সার্ভার গত ৬ মাস যাবৎ বন্ধ থাকায় জমির মালিকরা তাদের প্রয়োজনীয় সিএস খতিয়ান, এসএ খতিয়ানের মাঠপর্চা উত্তোলন করতে পারছে না। হেডক্লাক থেকে শুরু করে সবার কথা সার্ভার নষ্ট কাজ করে না । কখন ভালো হবে কেউ জানেন না। এটা হেড অফিস নিয়ন্ত্রণ করে।
মৌজা ম্যাপ চাইলেও দিতে পারছে না। তাদের সংগ্রহের তালিকায় পুরাতন সিএস, এসএ নক্শা নেই। একটা সার্ভার ভালো করতে কতদিন সময় লাগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন উত্তর নেই।
গত ৬ মাস যাবৎ সার্ভার কাজ করছে না । ছয় মাস ধরে মানুষের ভোগান্তি এটার দায়ভার কে নেবে ? শুধু কুড়িগ্রাম জেলায় নাকি এই অবস্থা এমনিতেই কুড়িগ্রাম একটি পিছিয়ে পড়া জেলা । করোনা ভাইরাস ও বন্যায় দিশেহারা মানুষ । দেখার কেউ নেই, বলার কেউ নেই , আহারে কুড়িগ্রামবাসী !!!
যেহেতু অন লাইনে আবেদন ছাড়া কোন কাগজ পত্র দেওয়ার কোন সুযোগ নেই, তাহলে মানুষ দুর্যোগ কালে কেউ জমি বিক্রি করবে , কেউ ক্রয় করবে, কেউ ব্যাংকের ঋন করবে, ব্যবসা বানিজ্য করবে , এই সার্ভারের জন্য কতদিন অপেক্ষা করতে হবে ? কেনো এই ভোগান্তিতে সাধারন জনগন ? হাজার হাজার মানুষ এই সমস্যায় পরেছেন।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় বিষয়টি দ্রুত সমাধান করবেন এবং জেলা প্রশাসক বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে ভুক্তভোগী সাধারনের প্রত্যাশা।
উলিপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ নেত্রী মতি শিউলী জানায়, বাংলাদেশে চলমান দাপ্তরিক ভাষায় বিদেশি ও ফার্সি শব্দের আধিক্য একটু বেশী মনে হয় । আইনি ভাষাতো আরো জটিল । আজকে জমি সংক্রান্ত একটি দলিলের তফসিল পড়তে গিয়ে মনে হলো জীবনের ষোলো আনাই বাকী। মাথা ঘোরা শুরু হয়েছিল । আমার মনে হলো জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আবার নতুন করে স্কুলে পড়তে হবে ,নতুবা জমি জমা রাখা মানে জটিল অঙ্কের মধ্যে বসবাস। আইন মন্ত্রনালয় ও ভুমি মন্ত্রনালয়ের ভাষার পরিবর্তন করে কিছুটা হলেও ভাষার সরলীকরণ করা দরকার । দাঁত ভাঙ্গা সবভাষার ব্যবহার । সেই সাথে বন্ধ সার্ভার খুলে দিয়ে এই অবস্থার দ্রুত পরিবর্তন করে সাধারণ জনগণের বোধগম্য করতে হবে অবশ্যই । তাতে করে ন্যায় বিচার পাওয়ার সম্ভাবনা দ্বিগুন বেড়ে যাবে।