হুমায়ুন কবির সুর্য্য,কুড়িগ্রাম
আনন্দমুখর পরিবেশে কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় কুড়িগ্রাম জেলা স্টেডিয়াম মাঠে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন।
এ সময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এ দিন বিকাল সাড়ে ৪টায় কুড়িগ্রাম টাউন হলে দ্বিতীয় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলরদের উপস্থিতিতে দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রধান অতিথি ওবায়দুল কাদের সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সাবেক সেক্রেটারি মো. জাফর আলীকে সভাপতি এবং আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জুকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন।
এর আগে কাউন্সিলরদের প্রস্তাবে সভাপতি হিসেবে আমিনুল ইসলাম মঞ্জু মন্ডল, মো. জাফর আলী, অ্যাডভোকেট এস এম আব্রাহাম লিংকন, মো. জাকির হোসেন এমপি, নুরনবী চৌধুরী খোকন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে মো. জাফর আলী, আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, আসলাম হোসেন সওদাগর এমপি ও অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন দুলালের নাম উঠে আসে।
পরে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি অন্যান্য নেতৃবৃন্দসহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করেন। এরপর তিনি কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে মো. জাফর আলী এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মো. আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জুর নাম ঘোষণা করেন। এছাড়াও সাবেক সভাপতি আমিনুল ইসলাম মঞ্জু মন্ডলকে জাতীয় পরিষদ সদস্য নির্বাচন করেন। এই তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি পরবর্তীতে পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি গঠন করবেন।
এর আগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির এখন অপর নাম বাংলাদেশ নালিশ পার্টি। দেশে নালিশ করে, বিদেশে নালিশ করে। আইন মানে না, আদালত মানে না, বিচার মানে না। বিচারের রায় মানে না। আদালতের ওপর চাপ দিতে হট্টগোল-হাঙ্গামা করে রণাঙ্গনে পরিণত করে। এই দলের হাতে দেশ কী নিরাপদ?’
এর আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বিচার বিভাগ পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছে। খালেদা জিয়ার মামলা দুর্নীতির মামলা, এখানে সরকারের করার কিছু নেই। খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে আদালতের ওপর সরকারের পক্ষ থেকে কোনো হস্তক্ষেপ নেই। তার জামিন আদালতের বিষয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চলমান যে শুদ্ধি অভিযান চলছে, তৃণমূলেও তা অব্যাহত থাকবে। দুর্নীতি দমন কমিশন কাজ করছে। সারা দেশের দুর্নীতিবাজদের তালিকাও তারা করেছে। তালিকা ধরে ধরে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। অপকর্ম করে কেউই ছাড় পাবে না। দুর্নীতির অভিযান সারা দেশে চলমান রয়েছে। দেখে শুনে সব দুর্নীতিবাজকে গ্রেফতার করা হবে।’
দুপুরে কুড়িগ্রাম জেলা স্টেডিয়ামে কাউন্সিলের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বিশেষ অতিথি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক।