ঢাকা অফিসঃ
জিয়া অরফানেজ মামলায় কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রাজধানীর তোপখানা, পুরানাপল্টন, বিজয়নগরে লিফলেট বিতরণ করেছে ২০ দলীয় জোট শরিক এলডিপি, বাংলাদেশ ন্যাপ, ডিএল ও লেবার পার্টি।
বৃহস্পতিবার এসকল স্থানের সামনে ফুটপাতে পথচারী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের হাতে লিফলেট তুলে দেন দলের নেতৃবৃন্দ।
এলডিপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন ডিএল সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, লেবার পার্টি মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী, বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিন সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, লেবার পার্টি যুগ্ম মহাসচিব শামসুদ্দিন পারভেজ, মাহমুদ খান, হিন্দুরত্ন রামকৃষ্ঞ সাহা, ন্যাপ ঢাকা মহানগর সদস্য সচিব মো. শহীদুননবী ডাবলু, আবদুল্লাহ আল মামুন, ছাত্রনেতা কামরুল ইসলাম সুরুজ, জিনাফ সভাপতি মিয়া মো. আনোয়ার হোসেন, জাতীয়তাবাদী কর্মজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন সরদার প্রমুখ।
এসময় এলডিপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, দেশে আইনের শাসন নেই, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই , মানবাধিকার নেই, গণম্যাধমের স্বাধীনতা নেই। সরকার আধিপত্যবাদীদের সহায়তায় সবকিছু করছে। এর উৎকৃষ্ট প্রমাণ ভুয়া মামলায় খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে কারাগারে রাখা হয়েছে। অথচ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট্রের একটি টাকাও আত্মসাতের ঘটনা ঘটেনি এবং এর সাথে খালেদা জিয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করতে ও নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য রাজপথে ঐক্যবদ্ধভাবে নামতে হবে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে শতকরা ৭০-৮০ ভাগ ভোট বিএনপি পাবে। বর্তমান দলবাজ পুলিশ ও প্রশাসনের অধীনে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না।
তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারকে বিদায় করে খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করতে হবে। এ জন্য সবাইকে রাজপথে নামতে হবে।
ডিএল সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মনি বলেন, আজ এক দলীয় শাসন এবং স্বৈরাচার এই দুটির সম্মিলনে যে ক্ষমতাসীন চক্র, তাদের সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। আর তাই একটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় অন্যায়ভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে থাকতে হচ্ছে।
লেবার পার্টি মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মতো মানুষ যদি চাইতেন যে তাঁর দুই কোটি টাকা প্রয়োজন, একদিনও লাগতো না, তারও কম সময়ের মধ্যে দেশের সাধারণ মানুষরা এর চাইতে বেশি টাকা দিত। এতিমের তহবিল থেকে নেয়া লাগবে কেনো বা সেখানে লুটপাটে সহযোগীতা করা লাগবে কেনো ?