শেখ শহীদুল্লাহ্ আল আজাদ. খুলনা জেলা প্রতিনিধিঃ

খুলনা সিটি করপোরেশন মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের দায়েরকৃত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার সাংবাদিক আবু তৈয়বের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন খুলনা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

অন্যদিকে খুলনার এই সিনিয়র সাংবাদিককে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ। উক্ত বিষয়ে পৃথক বিবৃতিতে আ’লীগ ও বিএনপি নেতারা এ দাবি জানান।বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বলেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেককে জড়িয়ে এনটিভি’র সাংবাদিক আবু তৈয়ব মুন্সি অসত্য, ভিত্তিহীন, বানোয়াট এবং উদ্দেশ্যে প্রনোদিত দালিলিক প্রমাণ ছাড়া তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে ব্যক্তি আক্রোশে সংবাদ দিয়েছেন।

যার মধ্যে কোন তথ্যই সত্য নয়। এটি পরিপূর্ণ সাংবাদিকতা ইথিক্সের পরিপন্থী। আমরা এই সংবাদের তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও এই মিথ্যা, উদ্দেশ্যেমূলক ভিত্তিহীন সংবাদ করে দক্ষিণাঞ্চলের গ্রহণযোগ্য বর্ষিয়ান নেতা, কর্মবীর তালুকদার আব্দুল খালেকের সম্মান ক্ষুন্ন করায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।

বিবৃতিদাতারা হলেন- শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহ উদ্দিন জুয়েল, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ হারুনুর রশীদ, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত কুমার অধিকারী।

অন্যদিকে এক বিবৃতিতে বিএনপি নেতৃবৃন্দ দাবি করেন, তালুকদার আব্দুল খালেক মঙ্গলবার বিকেলে সিনিয়র সাংবাদিক আবু তৈয়ব মুন্সির বিরুদ্ধে খুলনা সদর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন ও রাতেই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং সকালে দ্রুত সময়ের মধ্যে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

খুলনা মহানগর বিএনপি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে স্বাধীন ও বিরোধী মত দমনের কালো কানুনে সাংবাদিক আবু তৈয়েব মুন্সির বিরুদ্ধে মিথ্যা সাজানো মামলা দায়েরে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।বিবৃতিদাতারা হলেন, খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনি, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশাররফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, জলিল খান কালাম, সিরাজুল ইসলাম, এড. ফজলে হালিম লিটন, এড. বজলুর রহমান, এড. এস আর ফারুক, স ম আব্দুর রহমান, শেখ ইকবাল হোসেন, শেখ জাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, শেখ আমজাদ হোসেন, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, মো. মাহবুব কায়সার, নজরুল ইসলাম বাবু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, এস এম আরিফুর রহমান মিঠু ও ইকবাল হোসেন খোকন প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *