কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
জি আর এর টাকা বিতরণ অনিয়মর অভিযােগ হওয়ায় জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে অবশেষে ৬২৫ জনের মাঝে জিআর এর টাকা বিতরণ করা হয়েছে। কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজলার নয়ারহাট ইউনিয়ন এ ঘটনা ঘটেছে।
জানাগেছে,দুর্যােগ ব্যবস্থপনা বিভাগের আওতায় করােনাকালীন সময়ে ঈদ পূর্ববর্তী মানবিক সহায়তা হিসাবে ত্রাণ কার্যে নগদ এর জন্য ইউনিয়ন প্রতি ৬২৫ জন হিসাবে উপজলার ৬ ইউনিয়ন জন প্রতি ৪শ টাকা হারে মােট ৩ হাজার ৭৫০ জনের জন্য ১৫লাখ টাকা বরাদ্দ আসে। যা বিতরণের সম্ভাব্য তারিখ ছিল ৬ মে ২০২১। পাশাপাশি ভিজিএফ হিসাবে জন প্রতি ৪৫০টাকা হারে ৬ইউনিয়ন মিলে মােট ২৫ হাজার ১৬২ জনের জন্য বরাদ্দ আসে ১ কােটি ১৩ লাখ ২২ হাজার ৯০০টাকা। ২টি বরাদ্দ একই সময় আসায় নয়ারহাট ইউনিয়ন ভিজিএফ এর অর্থ বিতরণ করা হলেও অজ্ঞাত কারন জিআর এর টাকা বিতরণ না করায় ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়ে দিন কাটিয়েছেন নয়ারহাট ইউনিয়নের হতদরিদ্র অনেক পরিবার। সেখানে জিআর এর টাকা বিতরণ করা হয়নি মর্মে গত ১২ মে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযােগ করেছে ইউনিয়নটির কয়েকজন বাসিন্দা। তাদের অভিযােগের পেক্ষিত গত মঙ্গলবার কুড়িগ্রাম ডিডিএলজি মােছাঃ জিলুফা সুলতানা, জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা মাে. আঃ হাই সরকার,চিলমারী উপজলা নির্বাহী অফিসার এডব্লিউ এম রায়হান শাহ, সহকারী কমিশনার(ভূমি) মো. গােলাম ফেরদস,প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা কােহিনুর রহমান ও ট্যাগ অফিসার নুর ই আলম সরেজমিন তদন্তকরে ঘটনার সত্যতা খুজেঁ পান। পরে অনতিবিলম্বে ৬২৫জনকে জিআর এর অর্থ প্রদানের জন্য ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেয়া হয়। নির্দেশনা মােতাবক অবশেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে নতুন তালিকার মাধ্যমে ৬২৫জন হতদরিদ্রের মাঝে জন প্রতি জিআর এর ৪শ টাকা কর বিতরণ করা হয়।
এব্যাপার নয়ারহাট ইউপি চেয়ারম্যান আবু হানিফা জানান,ঈদের আগে জিআর এর অর্থ বিতরণ করা হয়েছে। আমার নির্বাচনী প্রতিপক্ষ জেলা প্রশাসকের নিকট অভিযােগ করায় অভিযােগের প্রেক্ষিতে তদন্ত পূর্বক নতুন করে তালিকা করে জিআর এর অর্থ বিতরণর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সে মোতাবেক ৬২৫জনকে জনপ্রতি ৪শ টাকা কর বিতরণ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এডব্লিউ এম রায়হান শাহ বলেন,অভিযােগের পেক্ষিতে তদন্ত করা হয়েছে। কিছু অব্যবস্থাপনা হয়েছে। তালিকার সাথে মিল করে জিআর এর অর্থ বিতরণ করার জন্য চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে।