ফারহানা আক্তার ,জয়পুরহাট প্রতিনিধি:

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলামের নিকট স্ত্রীর মর্যাদার দাবি নিয়ে নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে ও শহরের প্রধান সড়কে বুধবার বিকেলে এক শিশু সন্তান সহ অনেশন করেছেন জিনাতারা খাতুন নামের এক নারী তার কাছে থাকা ব্যবহৃত মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয় তাকে হেনস্তা করা হয় এমন অভিযোগ করেন ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে৷

জিনাত আরা খাতুন কলি দিনাজপুর জেলার উপশহর এলাকার নুরুল হুদার মেয়ে ও দিনাজপুর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রভাষক৷ জিন্নাত আরা কলি দিনাজপুর জেলার শহর এলাকার নুরুল হুদার মেয়ে ও দিনাজপুর গাল্স স্কুল এন্ড কলেজে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রভাষক সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিশু সন্তান সহ পথ অবরোধ করে রাস্তায় বসে আছেন এক মহিলা। এসময় রাস্তার যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হয়। রাস্তার দুই পাশে ভিড় করে দাড়িয়ে থাকেন

স্থানীয় ও পথচারীরা পরে সুবিচার প্রাপ্তির আশ্বাস দিয়ে রাস্তা থেকে উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয় যান৷

জিনাত আরা খাতুন কলি জানায় দিনাজপুর সদরে সহকারী (ভূমি কমিশনার)হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন৷ আমি একটি জমি খারিজ করতে গিয়ে তার সাথে প্রথম সাক্ষাৎ হয়৷ পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পকের্র এক পর্যায়ে ২০২১ সালে বিয়ে হয়। সে সময় আরিফুল ইসলাম তার পূর্বের বিয়ের বিষয়টি গোপন করেন। এর পর থেকেই তার বাড়িতে যাতায়াত করতেন আরিফুল ইসলাম। তাদের একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে। তবে বর্তমানে তাকে স্ত্রী হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায় আরিফুল ইসলাম। ওই ঘটনার জের ধরে (২৭সেপ্টেম্বর) বুধবার সন্তানকে নিয়ে আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আরিফুল ইসলামের সরকারী বাস ভবনে এসে তার সাথে দেখা কার চেষ্টা করে৷
এসময় তার নিরাপত্তা কর্মী আনসার সদস্য এবং ইউএনও তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে তার সাথে আসা পরিবারের সদস্যদের হেনস্তা করে বাহিরে বের করে দেন। এর পরেই তিনি রাস্তায় অনশনে বসেন তার ও সন্তানের মর্যাদা আদায়ের লক্ষ্যে।

জিনাতারা খাতুনের সহোদর ভাই মোক্তার হোসেন বলেন আরিফুল ইসলাম প্রথম স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও তিনি আমার বোনকে গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করেন, তুমি আমার বোন ও বোনের স্ত্রীর সন্তানকে অস্বীকৃতি জানাই আমার বোনের স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে আমরা এসেছি ইউএনওর লোকজন আমাদের হেনস্থা করেন৷ এ বিষয়ে দীর্ঘসময় ধরে ওই নারী, পরিবারের অনান্য সদস্যদের নিয়ে অলোচনা চলে উপজেলা চেয়ারম্যান কার্যালয়ে।পরে সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদ ত্যাগ করেন ওই নারী।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন,‘ তাকে তালাক দেওয়া হয়েছে। আইনের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করা হবে। এটি একটি পারিবারিক বিষয়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন