ফারহানা আক্তার, জয়পুরহাট প্রতিনিধি:
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বাগুয়ান এলাকায় ছোট যমুনা নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ী খোকনের বিরুদ্ধে। সরকারি কোনো ইজারা কিংবা বৈধতা না থাকলেও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে দিনের পর দিন অবাধে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলে খোকনের অবৈধ বালুর ঘাটে। অনুমোদন না থাকায় সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব, অপরদিকে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে ও নদীর পাড় কেটে বালু উত্তোলন করায় আশপাশের ফসলি জমি বিলীন হচ্ছে নদী গর্ভে। এলাকাবাসীর
অভিযোগ, স্থানীয়ভাবে সবকিছু ম্যানেজ করেই বালু খোকনের বালুর ঘাটে চলে রমরমা ব্যবসা। শুধু তাই নয়, বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) খোকনের অবৈধ বালুর ঘাটে কাজ করতে গিয়ে বালুবাহী একটি মেসি ট্রাক্টরের ধাক্কায় এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। নিহত শ্রমিক সদর উপজেলার বড় তাজপুর গ্রামের মৃত শফিউদ্দিনের
ছেলে শাহিন ওরেফে মতিন হোসেন (২৬)।স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীরা জানান, ছোট যমুনা নদীর বাগুয়ান এলাকার একটি অবৈধ বালুর ঘাট থেকে বালু উত্তোলন করছেন খোকন নামের এক বালু ব্যবসায়ী। সেই অবৈধ বালুর ঘাটে কাজ করছিলেন শাহিন ওরেফে মতিন। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে নদী থেকে বালু উত্তোলনের সময় একটি মেসি ট্রাক্টরের চাকা নিচে ডেবে যায়। তখন অন্য আরেকটি
মেসি ট্রাক্টরের সাহায্যে ডেবে যাওয়া মেসি ট্রাক্টরটিকে উদ্ধারের সময় মেসি ট্রাক্টরের ধাক্কায় মাথায় আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এদিকে শ্রমিকের মৃত্যুর পর ঘটনাস্থল থেকে বাকিরা পালিয়ে য়ায়। ড্রেজার মেশিনসহ যন্ত্রপাতি খুলে অন্যত্র সরিয়ে ফেলে।বাগুয়ান এলাকার ছোট যমুনা নদীর বালুর ঘাটটির বৈধতার বিষয়ে বালু ব্যবসায়ী খোকনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন শুধু আমার ঘাট নয়, কারও বালুর ঘাটের
অনুমোদন নেই। এভাবেই চলে বালুরঘাট।শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল হক বলেন, এবিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। তবে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। পাঁচবিবি উপজেলানির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফা সুলতানা বলেন, অবৈধ বালুর ঘাট বন্ধে অভিযান অব্যাহত আছে। এছাড়া এর আগেও তার বালু ঘাটে অভিযান চালানো হয়েছে।