মোহাম্মদ রেজাউল করিম রাজশাহী:
জাতীয়করণ কলেজগুলোর জন্য চাকরি-সংক্রান্ত বিধি প্রণয়নের দ্রুত দাবি জানিয়েছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি রাজশাহী ইউনিট। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী কলেজ শিক্ষক মিলনায়তনে আয়োজিত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিয়ম সভা থেকে এ দাবি জানান সমিতির নেতারা।

মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, সরকার সম্প্রতি ৩১৫টি কলেজকে জাতীয়করণ করেছে। কিন্তু সেই কলেজগুলোর প্রায় ২০ হাজার শিক্ষকের জন্য চাকরি বিধি তৈরি করা হয় নি। তারা যেকোনো সময় বদলি হয়ে নামি-দামি কলেজে চলে যেতে পারেন। ফলে নতুন জাতীয়করণ কলেজগুলোতে শিক্ষক সংকট তৈরি হবে। সেখানকার শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হবেন। বিকেন্দ্রিকরণ বাধাগ্রস্ত হবে। আবার নতুন যে কলেজগুলোতে তারা যাবেন সেখানকার বিসিএস ক্যাডার শিক্ষকরা পদোন্নতি থেকে আরম্ভ করে অন্যান্য ক্ষেত্রে বঞ্চিত হবেন। এতে করে উভয় শ্রেণির মধ্যে এক ধরনের অসন্তোষ বিরাজ করবে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে শিক্ষার্থীদের ওপরে।
আরো জানানো হয়, ২০১০ সালে প্রণীত শিক্ষানীতিতে পরিষ্কার করে বলা ছিলো ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণের জন্য নীতিমালা জরুরি। যে নীতিমালায় অন্যদের মতো বিসিএস ক্যাডদের স্বার্থও সংরক্ষিত থাকবে। কিন্তু সেই নীতিমালা প্রণয়ন করা হয় নি। এতে করে প্রায় ১৫ হাজার বিসিএস ক্যাডার শিক্ষকের মর্যাদার হানি ঘটছে। এমনটি চলতে থাকলে মেধাবীরা শিক্ষা ক্যাডারে আসার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন বলেও জানানো হয়।

মতবিনিময় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষ ও বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির রাজশাহী ইউনিটের সভাপতি প্রফেসর মহা. হাবিবুর রহমান। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক আনিসুজ্জামান।
সমিতির যুগ্ম সম্পাদক তানভিরুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক প্রফেসর ড. আব্দুল মান্নান, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সচিব আনারুল হক প্রামাণিক, এইচএসটিআইয়ের পরিচালক রীনা রানী দাস, টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অধ্যক্ষ দিলরোজ আরা, প্রকৃচি-বিসিএস সমন্বয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়া আরেফিন আজাদ বক্তব্য উপস্থাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *