ফারহানা আক্তার, জয়পুরহাট প্রতিনিধি ঃ

জয়পুরহাটের পাঁচবিবির কড়িয়া সীমান্ত এলাকায় লকমা গ্রামে বাড়ির সীমানা প্রাচীর নির্মাণকে কেন্দ্র করে পূর্ব শক্রতার জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় সাংবাদিকের বোন-ভগ্নিপতি ও পরিবারের অন্য সদস্যরা গুরত্বর আহত হয়েছে। আহতরা জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই ঘটনায় আহতের ছেলে ও যমুনা টেলিভিশনের স্টাফ রিপোটার সাংবাদিক আবদুল আলীমের ভাগিনা শহিদ হোসেন বাদী হয়ে ৭ জনের নামে থানায় মামলা করেন।

মামলা ও জানাগেছে, উপজেলার পশ্চিম কড়িয়া লকমা গ্রামের আনোয়ার হোসেন ও তার ছেলে আদালতের রায় পেয়ে গত ৮ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে বাড়ির সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেন। নির্মাণের একটু পরেই প্রতিপক্ষ উপজেলার রাধাবাড়ির গোলজারের ছেলে আতিকুল (২৮), রতনপুরের সেকেন্দারের ছেলে শাকিব (৩৫), পশ্চিম কড়িয়ার শরিফ উদ্দিনের ছেলে করিম (৫০) ও মীরশহিদ (৪৫), করিমের স্ত্রী বিলকিছ (৪৫), আতিকুলের স্ত্রী সুমাইয়া (২৫) ও পাঁচবিবি মাতাইশ মঞ্জিল মফিজ উদ্দিনের ছেলে মশিউর রহমান মিন্নুর (৩৫) সহ আরো অনেকেই মিলে প্রাচীরটি ভাঁঙ্গতে শুরু করে। এসময় প্রাচীর ভাঁঙ্গতে বাঁধা দিলে তারা লাঠি, ছোরা, দা, হাসুয়া, লোহার রড ও বাটাম দিয়ে বাদীর পরিবারকে আক্রমন করে এলোপাতারি মারপিট করে। এতে বাদীর, তার বাবা ও মায়ের শরীরে বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। বাদীর মা লিলিফা বেগমের মাথায় ও বাবা আনোয়ার হোসেনের হাতে হাসুয়া দিয়ে কোপ দিলে তারা গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করায়। [
হাসপাতাল সুত্রেজানাগেছে, বর্তমানে আহত লিলিফা বেগমের অবস্থা এখানো আশংকাজনক। তার মাথায় বেশ কটি সেলাই পড়েছে কিন্তু মাথা দিয়ে এখনো রক্ত ঝড়ছে বলে জানাগেছে।

থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) গোলাম সারওয়ার বলেন, ৬/৭ অজ্ঞাত সহ ৭ জনের নামে থানায় একটা মামলা হয়েছে। এ মামলার ২ জনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বাকিী আসামীদের দ্রুত গেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও তিনি জানান।
পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঞা জানান, ঘটনাটি ন্যাক্কারজনক এ বিষয়ে পুলিশ আসামীদের ধরার ব্যাপারে সক্রিয় কাজ করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *