ফারহানা আক্তার জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ
জয়পুরহাট থানাধীন ধারকী মন্ডলপাড়া গ্রামের গোলাম সারোয়ার জনি এর মালিকানাধীন জমিতে স্থাপিত গভীর নলকুপের সেচ পাম্প চালানোর বৈদ্যুতিক পিলারে থাকা (১০কেভি) করে মোট ৩টি ট্রান্সফর্মার পিলার থেকে নামিয়ে ভিতরে থাকা কয়েলের তামার তার অজ্ঞাতনামা চোরেরা চুরি করিয়া নিযে যায়।
বাদীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে জয়পুরহাট থানার মামলা নং- ২৪ /২০২২/ ৩৭৯ পেনাল কোড রুজু হয়। মামলাটি রুজু হওয়ার পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামী সানোয়ার হোসেন অত্র মামলার ঘটনায় জড়িত মর্মে সনাক্ত করা হয়।
গ্রেফতার কৃত সাদ্দাম হোসেন (৩২)ধারকি গ্রামের চৈতুনের ছেলে আঃ মোমেন (৩০)ধারকি গ্রামের হাফিজ মন্ডলের ছেলে তাজেল হোসেন (২৮) ধারকি গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে৷
সানোয়ার হোসেন আন্ত জেলা ট্রান্সমিটার চোর চক্রের মূল পরিকল্পনাকারী ও বাস্তবায়নকারী সানোয়ারসহ তাহার সহযোগী অন্যান্য ট্রান্সফর্মার চোরেরা জয়পুরহাট সদর থানাধীন বম্বু, আমদই ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রান্সফর্মার চুরি করে ট্রান্সফর্মারের ভিতরে থাকা কয়েলের তামার তার বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় করে। সানোয়ার হোসেন উপরোক্ত ঘটানার পরপরই বগুড়া, ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে গিয়ে পলাতক ছিল। গত (২৯মার্চ) আসামী সানোয়ার জয়পুরহাটে প্রবেশ করলে মামলাটি তদন্তকারী অফিসার ফোর্সসহ ধারকি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে (৩০মার্চ)রাত্রী ০৮.০০ ঘটিকার সময় সানোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করেন। পরবর্তীতে তাদের হেফাজতে থাকা অনুমান ১০কেজি তামার তার উদ্ধার করা হয়। সানোয়ার হোসেন বিজ্ঞ আদালতে নিজেকে অত্র মামলার ট্রান্সমিটার চুরির ঘটনায় নিজেকে জড়িত আছেন ১৬৪ ধারা স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেন সানোয়ারসহ আরো পাঁচজন আসামী অত্র ট্রান্সফর্মার চুরির ঘটনার সহিত জড়িত আছে মর্মে জানা যায়।
আসামীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জয়পুরহাট সদর থানার বিভিন্ন এলাকা হতে পৃথক ৩টি অভিযান পরিচালনা করে ট্রান্সফর্মার চুরির ঘটনার সহিত জড়িতদের গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের হেফাজত থেকে ঘটনার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের লাইলনের দড়ি, কাটার প্লাস ৪টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেন৷
জয়পুরহাট সদর থানার ওসি আলমগির জাহান সাংবাদিকদের বলেন তারা ইতিপূর্বে জয়পুরহাট, নওগাঁ, বগুড়া, গাইবান্ধা বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রান্সফর্মারের কয়েলের জয়পুরহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্রয় করেছে। আসামী সানোয়ার এর বিরুদ্ধে একটি, আসামী সাদ্দাম এর বিরুদ্ধে চুরি, মারামারি মামলাসহ ৪টি, আসামী তাজেল এর বিরুদ্ধে একটি, আসামী মোমেন এর বিরুদ্ধে একটি চুরি মামলা রয়েছে।