ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ঝালকাঠিতে ই-জিপি পদ্ধতিতে টেন্ডার আহ্বানে ঠিকাদার’রা বিপাকে পড়ছে। দরপত্র (টেন্ডার) আহ্বানের নতুন ই-জিপি (ইলেকট্রনিক গর্ভনমেন্ট প্রোকিওরমেন্ট) ওয়েব পোর্টাল পদ্ধতিতে ঝালকাঠীর দুই হাজার ঠিকাদার বিপাকে পড়েছেন। এর ফলে কোনো প্রকৌশল বিভাগ থেকে তারা নিজেদের লাইসেন্সে কাজ পাচ্ছেন না। বড় বড় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সে দরপত্রে অংশগ্রহণ করতে হচ্ছে। এতে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ২ থেকে ৪ শতাংশ লাভ দিতে হচ্ছে। সরকারকে দিতে হচ্ছে সুপার ট্যাক্স। ছোট বা নতুন ঠিকাদারগণ মনে করছে,এর ফলে সরকারী- বেসরকারি নিমার্ণ কাজের গতি কমে যাচ্ছে এবং কাজ দেরিতে সম্পন্ন হওয়ায় সরকারের ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। জেলা পর্যায়ের প্রকৌশল বিভাগে দরপত্রের সিডিউল বিক্রি কমে গেছে। এ পদ্ধতিতে নতুন করে কেউ ঠিকাদারি পেশায় আসতে পারছেন না। বড় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আরও বড় হচ্ছে। ছোট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দিন দিন সংকুচিত হচ্ছে। ঝালকাঠীর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল, সড়ক ও জনপথ, গণপূর্ত, শিক্ষা প্রকৌশল স্বাস্থ্য প্রকৌশল, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলসহ সব প্রকৌশল বিভাগে একই অবস্থা বিরাজ করছে। দরপত্রের ই-জিপি (ইলেকট্রনিক গর্ভনমেন্ট প্রোকিওরমেন্ট) ওয়েব পোর্টাল পদ্ধতির মাধ্যমে পদ্ধতি নিয়ে ঠিকাদারদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা এ পদ্ধতির পরিবর্তনের দাবি করেছেন। ই-টেন্ডারিংয়ের মাধ্যমে ঠিকাদার রেজিস্ট্রেশন, টেন্ডার আহ্বান, দাখিল, টেন্ডার খোলা, তার মূল্যায়ন, অনুমোদন এবং কার্যাদেশ দেওয়াসহ টেন্ডার সংক্রান্ত সবরকম কাজ অনলাইনের মাধ্যমে করতে হবে। সরকারী নির্দেশনা মেনে সকল দেশীয় ও আর্ন্তজাাতিক দরদাতা, ঠিকাদার, পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে ইটেন্ডার রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে।২০১৬ সালে চালু হওয়া এই প্রক্রিয়া আপনাকে ই-টেন্ডার রেজিষ্ট্রেশনের আওতায় আসতে হবে ঠিকাদারী ব্যবসায় পরিচালনা করতে হলে। ইটেন্ডার রেজিষ্ট্রেশন সম্পূর্ণ করার মাধ্যমে ইজিপি সিষ্টেমে প্রকাশিত দরপত্রে অংশগ্রহন করা যাবে। দরপত্রদাতা/পরামর্শক প্রতিষ্ঠান/ব্যক্তি পরামর্শক/সরকারী মালিকানাধীন এন্টারপ্রাইজ সমূহ রেজিষ্ট্রেশন পক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন করার পরই একজন দরদাতা হিসেবে ইজিপি সিষ্টেমের ড্যাশবোর্ডে প্রবেশ করতে পারবেন এবং প্রকাশিত দরপত্রে অংশগ্রহন করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *