ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠিতে ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী তামান্না (১২)কে জোড় করে তুলে নিয়ে ধর্ষন করার পর গুম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বাপারে ঝালকাঠি থানায় ভুক্তভোগী তামান্নার পিতা নুরুল আমিন মোল্লা বাদী হয়ে এজাহার দিলেও তা গ্রহিত হয়নি। ঘটনাটি সদর উপজেলার নবগ্রামের মকরমপুর গ্রামে গত ১০ জানুয়ারী দুপুরে ঘটে। লিখিত অভিযোগ সুত্রে প্রকাশ, তামান্না আক্তার মকরমপুর দরবার শরীফ দাখিল মাদাসার ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী। মাদ্রাসায় যাওয়া-আসার পথে স্থানীয় মুখোশধারী নারী খেকো লম্পট বখাটে পার্শ্ববর্তী আজগর সরদারের ছেলে শহীদ সরদার (২২) প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত। বিষয়টি অসহায় পিতা নুরুল আমিন মাদাসার কতৃপক্ষদের জানালে তাতে শহীদ সরদার ক্ষিপ্ত হয়ে ১০ জানুয়ারী দুপুরে তামান্নার মুখ চেঁপে ধরে ওড়না পেছিয়ে নির্জন ভিটায় নিয়ে জোড় পূর্বক ধর্ষণ করে পরে তাকে বেঁধে মাইক্রোতে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। ঘটনার ৭ দিন অতিবাহিত হলেও অদ্যবধি তামান্নাকে খুজে না পেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয় ভুক্তভোগী পিতা। এসআই হানিফ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কিন্তু অপহৃত তামান্নাকে জীবিত অথবা মৃত উদ্ধার করতে পারেননি। মুঠোফোনে এস আই হানিফ জানান, ঘটনা সত্য এবং এজাহার অবশ্যই এফআইআর হবে। এ ব্যাপারে ওসি তাজুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, ঘটনাস্থলে এসআই হানিফ পরিদর্শন করেন তিনি বর্তমানে রাস্ট্রপতির প্রোটোকলে ভোলায় থাকায় এজাহার নেওয়া সম্ভব হয়নি। এলাকাবাসী অবশ্য জানিয়েছেন বখাটে শহীদ সরদার এলাকায় বিভিন্ন কুকর্ম করে বেড়ায় আর এতে সহায়তা কওে তার নিকটতম আত্মীয় বরিশাল জেলার বানারিপাড়া উপজেলার রাজ্জাকপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলী হাওলাদারের ছেলে রিয়াজুল। তামান্নার পিতা নুরুল আমিন মোল্লা সাংবাদিকদের জানান, তার মেয়ে তামান্নাকে তুলে নিয়ে তার আত্মীয় বানারীপাড়ার রিয়াজুলের বসত ঘরে নিয়ে গিয়ে রিয়াজুুলসহ একাধিক ব্যক্তি দ্বারা গনধর্ষণ করিয়ে হত্যা করে লাশ গুম করেছে বলে আশংকা প্রকাশ করেন। তিনি এর সুষ্ঠ বিচার দাবী করেন। বিষয়টি পুলিশ সুপার মোঃ জোবায়েদুর রহমান জানেন না বলে অভিহিত করেন তবে তিনি বিস্তারিত জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে নিশ্চিত করেছেন। অপরদিকে স্থানীয় সচেতন মহল এ বিষয়ে মানববন্ধন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *