প্রকৌশলী সরদার সায়িদ আহমেদ

সাঁঝের মায়ায় পাখীরা ফেরে নিজ নীড়ে

গৃহপালিত পশুরা ফেরে চিরচেনা গোয়াল ঘরে,

কিন্তু গৃহহীন মানুষ কোথায় পাবে ঠাঁই ?

পথেই কেটে যায় দিন, রাতের ঠিকানাও নাই।

শহুরে ফুটপাথ, দোকানের বারান্দা বা রেলস্টেশন বলে

নিজেকে ভেবোনা অসহায়, আমরা তোমাদেরই দলে,

খোলা রবে মোদের দ্বার চিরকাল আশ্রয় হীনের তরে

মানুষ হয়ে মানুষের মাঝে ঠাঁই না পেলে, এসো এই ঘরে।

গৃহহীন জানে একটি ঠিকানা যে বড়ই প্রয়োজন তার

রাতে নিরাপদে ঘুম আর নিরিবিলি বিশ্রাম নেবার,

নি:শ্চিন্তে মাথা গোঁজার চাই একটি আবাসন

যেখানে পরিবার নিয়ে বসবাস করা চলে আজীন,

পথের ক্লান্তি ভুলবার একটি আশ্রয়ের ঠিকানা দাও প্রভু

তোমার গুণগানে রবো, ভুলবো না তোমার দান কভু,

অকৃতজ্ঞ হবোনা আশ্রয় যদি পাই তোমার কৃপায়,

এ আমার প্রতিজ্ঞা, কভু, হবে না এর ব্যত্যয়।

গৃহহীনের আকুল আর্জি কবুল করলেন নিরঞ্জন

আবাসনের সাথে দিলেন অন্ন, করতে ক্ষুধা নিবারণ,

কিছুকাল সে মানুষ গুণগান করে স্রষ্টার কৃপার

তবে অচিরেই শিথিল হতে থাকে বন্ধন কৃতজ্ঞতার,

আরো চাই চাহিদার তালিকা বাড়তে থাকে প্রতিদিন

এক সময় মানুষ ভাবে এ সম্পদ তো তার নিজেরই অর্জন,

দূরে থেকে প্রভূ হাসেন, দিলেন আরো সম্পদের সন্ধান

প্রয়োজনের কিঞ্চিত আধিক্যে মানুষ ভুলে যায় স্রষ্টার দান।

এবার মানুষ ভাবে হাতের নাগালে যা, এখন সবই তার

কি অছিলায় বৈভব এলো তা ভাবার কি দরকার,

কষ্টে অর্জিত হলে ধন তাতে মায়া থাকে রোজগারীর

কিন্তু অণ্যের কাছে তা মনে হয় কৃপণতার নজির,

বেহিসাবীরা অর্থ ঢালে আবেগে আর স্বেচ্ছাচারিতায়

বাধা পেলে বেজায় নাখোশ হয়ে এরা জ্বলে আপন চিতায়,

এরা শয়তানের ধোকায় ভুলে গেছে কে আপন কে পর!

নেশা শেষে এরা চারিদিকে কেবলই দেথবে অন্ধকার ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন