লালমনিরহাট প্রতিনিধি
লালমনিরহাটে তিন সাংবাদিকসহ ৮৭ জনকে আসামি করে চাঁদাবাজি ও চুরির মামলা দায়ের করা হয়েছে। সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহানুর ইসলাম সুজন বাদী হয়ে সদর থানায় গত ২৬ জানুয়ারি ওই মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত আরও ২০০ থেকে ২৫০ জনকে আসামী করা হয়েছে। মামলা নং ৪১, স্মারক নং৭৯৮(৩)/১)।
মামলায় আসামি করা সাংবাদিকরা হলেন, দৈনিক জনবাণীর সদর উপজেলার প্রতিনিধি আমিনুল ইসলাম রকি (২৭), দৈনিক সকালের শিরোনাম ও দৈনিক আশ্রয় প্রতিদিন পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম(২৭) এবং লালমনিরহাট প্রেসক্লাবের সদস্য এবং দৈনিক আমাদের মাতৃভূমি পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি রাসেল ইসলাম (৩০)।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারী। অভিযোগে বলা হয়, অভিযুক্তরা উক্ত দিনে মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের বুড়ির বাজার এলাকায় কাজী সাহেবের বাড়ির সামনে এবং মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আঃ মজিত মন্ডলের বাড়ির সামনে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালায়। এছাড়া আসামীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও চুরির অভিযোগও আনা হয়েছে।

অভিযোগকারী যুবদল নেতা, শাহানুর আলম সুজন দাবি করে বলেন, অভিযুক্তরা মোবাইলে তাকে হুমকি দিয়ে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে অব্যাহতভাবে হুমকি দেওয়া হয়েছিলো ।
তবে মামলায় অভিযুক্ত সাংবাদিক রাসেল হক বলেন, যে ঘটনায় আমাকে আসামি করা হয়েছে – সে ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা। আমাকে হয়রানি করতে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে। তিনি এর সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন।
আরেক অভিযুক্ত সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম রকি বলেন, “আমি সাংবাদিক হিসেবে পেশাদারী দায়িত্ব পালন করতে সেখানে গিয়েছিলাম। ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। যদি জানতাম আমাকে আসামি করা হবে, তাহলে সেখানে যেতাম না।” অভিযুক্ত অপর সাংবাদিক শরিফুল ইসলাম বলেন, যে ঘটনার বিষয়ে আমাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমাকে মানহানি ও হয়রানি করার জন্য ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে। তিনিও মামলাটির তদন্তের করেন।
এ বিষয়ে প্রেসক্লাব লালমনিরহাটের সাবেক সাধারণ আহমেদুর রহমান মুকুল বলেন, সাংবাদিককে হয়রানি করতে এ মামলা করা হয়েছে । যার তার নামে ইচ্ছে মতো মামলা দেওয়া হয়রানি ছাড়া কিছুই নয়। আমরা এর তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও মামলার সুষ্ঠু তদন্তের দাবী জানাই।

এ বিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ নুরু-নবী বলেন, থানায় দায়ের করা অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। ইতমধ্যে মামলার এজাহারনামীয় ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *