লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তা তীরবর্তী এলাকা ও নিম্নাঞ্চলের বাড়ি ঘর থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার (২০জুন) সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ কমে বিপৎসীমার ৬০ সে.মি. নিচ দিয়ে রেকর্ড করা হয়।
এর আগে গত সোমবার সকালে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে লালমনিরহাটের ৫ উপজেলার তিস্তার চরাঞ্চল ও তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের অন্তত ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। ডুবে যায় রাস্তাঘাট।
এদিকে তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানির পরিমাপ কমলেও এখনো নিম্নাঞ্চলের কিছু বাড়ি ঘরে পানি রয়েছে। তলিয়ে যাওয়া রাস্তা ঘাট ও বন্যা কবলিত কিছু বাড়ি ঘর থেকে পানি নেমে গেলেও রয়েছে কর্দমাক্ত। ফলে লোক চলাচলে কিছুটা দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জানা গেছে, তিস্তা ও ধরলার পানি বৃদ্ধিতে জেলার পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী,দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, ফকিরপাড়া ইউপির রমনীগঞ্জ,
সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না ইউপির পাটিকাপাড়া, হলদিবাড়ী, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতিসহ পাশ্ববর্তী রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার তিস্তা তীরবর্তি এলাকা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ও সদর উপজেলার ফলিমারীর চর খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করায় প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, পানি বৃদ্ধি পেলেও তা আবারও কমতে শুরু করেছে। খোজখবর রাখছি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় যাবতীয় প্রস্তুতি রয়েছে।