এস, কে সাহেদ,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ডালিয়া পয়েন্টে পানি কমলেও বেড়েছে কাউনিয়া পয়েন্টে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় কাউনিয়া পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা দুই পাড়ের তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের মানুষ বুধবার দিবাগত রাত উৎকন্ঠায় পার করলেও পানি নেমে যেতে শুরু করায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে । তবে বন্যা পরবর্তী ভাঙ্গণের আশংকা করছেন তারা।

এরআগে বুধবার বিকালে উজানের ঢলে সৃষ্ট হঠাৎ আকস্মিক বন্যায় আতংকিত হয়ে পড়ে তিস্তা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের মানুষজন। ভারতের উত্তর সিকিম রাজ্যে তিস্তা অংশে বাধ ভেঙ্গে উজানের অস্বাভাবিক ঢলে পানির ঢল এবং টানা বৃষ্টিতে তিস্তায় দেখা বন্যা দেয় বন্যা। এতে তিস্তার দুই পাড়ের নিম্নাঞ্চল সহ চরাঞ্চল পানিতে ডুবে গেছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। দেখা দিয়েছে শুকনো খাবার সংকট।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকাল ১১টায় ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ বিপৎসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার নিচে রেকর্ড করা হলেও কাউনিয়া পয়েন্টে ৩০ সে.মি উপরে রেকর্ড করা হয়।

বন্যায় স্থায়ী হলে বিস্তির্ণ চরাঞ্চলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ও দমকা বাতাসে বিপাকে পড়েছেন বানভাসী মানুষ। গরু -ছাগল নিয়ে ঠাই নিয়েছেন বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে। উৎকন্ঠায় রাত পার করলেও পানি নেমে যেতে শুরু করায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। তবে বন্যা পরবর্তী ভাঙ্গণের আশংকা রয়েছে। এদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সচেতনতা প্রচারনা, সার্বিক দেখভাল করা হচ্ছে।

বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের তথ্য জানায়, ভারতীয় সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন (CWC) এর তথ্য অনুযায়ী, ভারতের উত্তর সিকিম’ রাজ্যে তিস্তা নদীর চুংথাং ড্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে সিকিম অঞ্চলে আগামী ৪৮ ঘন্টা ভারী বৃষ্টি পাতের পূর্বাভাস রয়েছে। এছাড়াও রংপুর অঞ্চলসহ লালমনিরহাট, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম এলাকায় গত দুইদিন থেকে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে।

লালমনিরহাট জেলা মোহাম্মদ উল্ল্যাহ বলেন, নদী এলাকার জনপ্রতিনিধিগণের মাধ্যমে মাইকিং করে নদী এলাকার মানুষকে সচেতন করেছি। যেকোন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, উজানের ঢল ও ভারী বর্ষণে বেড়ে যাওয়া তিস্তা ডালিয়া পয়েন্টে পানি কমতে শুরু করেছে। আমরা সার্বিক খোজখবর রাখছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *