বিশেষ প্রতিনিধি

চট্রগ্রাম অাবাসিকে পুরো নগর জুড়ে গ্যাস সংকট শুরু হয়েছে।গত তিনদিন থেকে নগরীতে অাবাসিক খাতে গ্যাস সংকট প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে। কর্নফুলি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেডের কর্মকর্তারা জানান একদিকে জাতীয় গ্রিড থেকে গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দেয়া হয়ছে।অপারদিকে সিইউএফএল সার কারখানা চালু করা হয়েছে। এই কারনে নগরীতে অাবাসিক খাতে গ্যাস সংকট প্রকট অাকার ধারন করেছে। হঠাৎ করে চট্রগ্রামে ৩৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দেয়া হয়েছে। জাতীয় গ্রিড থেকে গ্যাস সরবরাহ না বাড়ালে এই সংকট সহজেই কাটবে না বলে জানিয়েছেন কর্নফুলী গ্যাসের কর্মকর্তারা।
নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জনা গেছে, ভোর ৬টা থেকে নগরীর প্রায় এলাকায় রান্নার চুলায় গ্যাস থাকে না। এদিকে রাত ১১টার দিকে গ্যাস অাসে।
সরজমিনে নগরীর জামালখান, মোমিন রোড,রহমতগঞ্জ,চকবাজার, হামজারবাগ, সিইপিজেড, কলসীদিঘীর পাড়স্ত এলাকায় ঘুরে খবর পাওয়া গেছে, সকালে বাসা-বাড়ীতে গ্যাস না থাকার কারণে স্কুলগামী ছোট ছোট শিশুদের এবং এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সকালের খাবার দেয়া যাচ্ছে না। ভোরে ঘুম থেকে উঠার অাগেই গ্যাস চলে যাচ্ছে। মোমিন রোড এলাকার বাসিন্দা রোজি চৌধুরী জানান, অাজ(গতকাল) সকাল ৭টায় গ্যাস চলে যায় এবং বিকাল ৪টায় অাসে।সন্ব্যা ৬টায় অাবার চলে যায়, রাত ১০টায় অাসে। এদিকে হামজারবাগ এলাকার অাব্দুস শুক্কুর জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে ভোরে ঘম থেকে
উঠার অাগেই গ্যাস চলে যাচ্ছে।
কলসীদিঘীর পাড়স্ত বিশিষ্ট শিল্প পতি জনাব বেদু সওদাগর এলাকার জামাল কলোনীর শাহনাজ পারভীন জনায় গ্যাস না থাকার কারনে অামার ৬ বৎসরের ছোট শিশু মোঃমেশকাত হোসেন (ফয়সাল) কে ভাত না খেয়েই স্কুলে রেখে অাসতে হয়েছে।
এই ব্যাপারে কর্নফুলী গ্যাস কোম্পানী লিমিটেডের ম্যানেজার ( কাস্টমার এন্ড মেইনটেনেস) প্রকৌশলী অনুপম দত্ত জানান, নগরীর অাবাসিক খাতে গ্যাস সংকট প্রকটে অাকার ধারন করেছে। গত শনিবার থেকে এই সংকট দেখা দিয়েছে। চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার কোম্পনী( সি্ইউএফএল) গত শনিবার থেকে চালু হওয়ার পর নগরীতে অাবাসিক খাতে গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। তানি জানান, অাগে চট্রগ্রামে অামরা প্রতিদিন ২৬০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পেতাম। ২৬০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস
পেলে অাবাসিকে কোন সংকট থাকে না। হঠাৎ করে গত শনিবার থেকে অামাদেরকে দেয়া হচ্ছে ২২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।এর মধ্যে থেকে কাফকোকে দিতে হচ্ছে ৪১ মিলিয়ন ঘনফুট, সিইউএফএল চালু হওয়াতে সেখানে দিতে হচ্ছে ৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। অাবাসিক খাতে মাএ ১৫৪ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস দেয়া সম্ভাব হচ্ছে। এই কারণে সংকট প্রকট অাকার ধারন করেছে।
এমনিতেই চট্রগ্রামে গ্যাস সংকট দীর্ঘদিনের। কিছুদিন পরপর অাবাসিক খাতে গ্যাসের সংকট লেগেই থাকে।
মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে ভাসমান এলএনজি গ্যাস
টার্মিনাল থেকে অানোয়ারা হয়ে চট্রগ্রামে গ্যাস সরবরাহ না হওয়া পর্যন্ত গ্যাস সংকট কাটবে না বলে জানিয়েছেন কর্নফুলী গ্যাসের সংশিলিষ্ট কর্মকর্তারা। মহেশ খালীতে নার্মিতব্য এলএনজি গ্যাস টার্মিনাল থেকে ২০১১৮ সালের শোষের দিকে গ্যাস চট্রগ্রামে অাসবে বলে জানিয়ছেন এই প্রকল্পের সংশিলিষ্ট প্রকৌশলীরা।
অামদানিকৃত এলএনজি গ্যাস টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদিত হবে।চট্রগ্রামে গ্যাসের দৈনিক চাহিদা ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট।
এই হিসেবে অামদানিকৃত গ্যাস দিয়ে চট্রগ্রামের চাহিদা অনায়াসে মিটে যাবে।তবে এর জন্য চট্রগ্রামবাসীকে অারো প্রায় দেড় বছরের মতো গ্যাসের সংকটের মধ্যে কাটাতে হবে বলে জানা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন