কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী পৌরসভার ১ও ২ নং ওয়ার্ডের কাজী আবুল হাসান সরকারী আইন অমান্য করে ব্যাপক অনিয়ন ও বাল্য বিয়ে পড়াচ্ছেন। যার বিরুদ্ধে পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের মাঈন উদ্দিন সরদার বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে সম্প্রতি অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় কাজী অাবুল হাসানের দূর্নীতি প্রকাশ পায়।
বিষয়টি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হলে কর্তৃপক্ষ সরেজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য চিঠি প্রেরন করেন নাগেশ্বরী সাব- রেজিষ্ট্রার শ্রী প্রফুল্য কুমার বর্মন এর দপ্তরে। তদন্তের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা সরেজমিনে তদন্ত না করে বিভিন্ন ভাবে টালবাহানা করছে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা বিরুদ্ধে ঊৎকোচের বিনিময়ে তদন্তে কারচুপির অভিযোগ করেছে মাঈন উদ্দিন সরদার। অভিযোগ কারী বলেন, সরে জমিনে অভিভাবকদের সাথে কথা না বলেই তদন্ত রিপোর্ট পেশ করেন।
এ ব্যাপারে সোলোর খামারের দশম শ্রেনীর ছাত্রী উম্মে কুলসুম মেঘনা, সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রী জেসমিন আক্তার ,দধিরগ্রামের সুমি খাতুন, কবিরের ভিটা গ্রামের শাহজাহান আলীর মেয়ে শারমিন আক্তারের বাল্য বিবাহ হয়েছে। দধির গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস বলেন অামার মেয়ে সহ এসব বাল্য বিবাহ গুলো কাজী আবুল হাসান পড়িয়েছে।
এলাকাবাসী বলেন কাজী আবুল হাসান প্রায়ই মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বাল্য বিবাহ পড়াচ্ছেন। বিবাহ বিচ্ছেদ হলে নকল তুলতে গেল, নকল না দিয়ে বিভিন্ন টাল বাহানা করেন।
অভিযোগকারীকে তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, সরেজমিনে অামার তদন্ত করার সময় নেই, এটা অামার চাকুরী নয়। তিনি অারোও বলেন, সব কাজী ২নম্বর বইয়ে বাল্য বিয়ে পড়ায়,২ নম্বর অামাকে দেখাবে না। অাপনি ধরিয়ে দেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায় নি।