নাগেশ্বরী প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে অবৈধভাবে দুধকুমর নদী থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করছে কিছু অসাধু বালু ব্যাবসায়ী। এতে হুমকীর মুখে রয়েছে রাস্তা, ব্রিজ, মসজিদ, স্কুল, মাদরাসা ও শতশত বাড়িঘরসহ বহু স্থাপনা। নীরব ভুমিকা পালন করছে প্রশাসন। উপজেলার রায়গঞ্জ ইউনিয়নের মোল্লারভিটা এলাকার কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দুধকুমর নদী থেকে বালু উত্তোলন করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। স্থানীয়রা জানায় দীর্ঘদিন থেকে ওই এলাকার নজরুল ইসলাম, হারুন মিয়া, রফিকুল ইসলামসহ একটি অসাধু চক্র দীর্ঘদিন যাবৎ একাধিক ড্রেজার বসিয়ে দুধকুমর নদী থেকে বালু উত্তোলন করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা এ ব্যাপারে এলাকার লোক বাধা দিলে তাকে বিভিন্নভাবে হুমকী দিয়ে আসছে। স্থানীয়রা আরও জানায় এর আগে ওই এলাকায় বালু উত্তোলনের ফলে রাস্তাঘাট অকেজো হয়ে পড়ছে। তাই স্থানীয় সচেতন মহল কিছুদিন পূর্বে রাস্তায় গাছের গুড়ি গেঁড়ে রাস্তা অবরোধ করে রাখে, যাতে করে ট্রলি কিংবা ট্রাক্টর দিয়ে রাস্তার ক্ষতি না হয়। তখন ওইসব অসাধু ব্যবসায়ী নাগেশ্বরী থানা পুলিশ দিয়ে তাদেরকে হুমকী প্রদান করে। সরেজমিনে দেখা গেছে ট্রলি ও ট্রাক্টর দিয়ে বালু পরিবহনের কারণে রাস্তাগুলো চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে গেছে। এমনকী বালু উত্তোলনের ফলে বর্ষা আসলে ওই এলাকাকার হাজারও পথচারীর একমাত্র চলাচলের মাধ্যম রাস্তাটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবার সম্ভাবনা আছে। সাথে বিলীন হয়ে যাবে সুইজগেট ব্রিজ, নদী সংলগ্ন স্কুল, মাদরাসা, মসজিদ, হাট-বাজার ও শত শত বাড়িঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা। ফুল মিয়া, আনোয়ার হোসেনসহ স্থানীয় অনেকে অভিযোগ তুলে বলেন বালু ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী হওয়ায় বালু উত্তোলনে বাধা দিলে তারা আমাদেরকে হুমকী প্রদান করেন। মিজানুর রহমান নামের আরেকজন বলেন আমার নিজের জমিতে রাস্তা করতে দিয়েছি। এখন মনে হয় রাস্তাটি থাকবে না। আমাদের বাড়িও নদী খেয়ে ফেলবে। বালু ব্যবসায়ী হারুন-উর রশিদ বালু উত্তোলনের কথা স্বীকার করে বলেন এখানে লুকোচুরির কিছু নেই, আমরা প্রশাসনিক কোনো আনুমতি পাইনি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শঙ্কর কুমার বিশ্বাস বলেন আমি বিষয়টি অবগত আছি। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।