স্টাফ রিপোর্টারঃ

ভুরুঙ্গামারীর পাটেশ্বরী বরকতিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে লাইব্রেরিয়ান নিয়োগ নিয়ে ম্যানেজিং কমিটি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ বানিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
লাইব্রেরিয়ান নিয়োগের কয়েকদিন আগেই গোপনে প্রার্থী হাবিবুর রহমান মিলুর কাছ থেকে ১২লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে প্রার্থীদের অভিযোগ।কমিটির অর্থ বানিজ্যের বিষয়টি তাৎক্ষণিক উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আইবুল ইসলাম ও নিয়োগ বোর্ডের সদস্যকে অবহিত করেছেন নিয়োগ না পাওয়া প্রার্থীরা। অভিযোগকারীরা আরো জানান, পাটেশ্বরী বরকতিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোকনুজ্জামান, ভুরুঙ্গামারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আইবুল ইসলামকে মোটা অঙ্কের অর্থ দিয়ে যোগসাজশ করে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নাগেশ্বরী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রইস উদ্দিনকে ম্যানেজ করে লাইব্রেরিয়ান নিয়োগ পরীক্ষা লোক দেখানো ও বিধিমালা অমান্য করে অবৈধভাবে হাবিবুর রহমান মিলুকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। জানা যায়, ভুরুঙ্গামারী উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাটেশ্বরী বরকতিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিয়ান নিয়োগের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা গত ২সেপ্টেম্বর নাগেশ্বরী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে লোক দেখানো করে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত পরীক্ষা অংশগ্রহণ করেছেন ৭জন প্রার্থী।
নিয়োগ বোর্ডের দায়িত্বে ছিলেন নাগেশ্বরী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রইস উদ্দিন, ভুরুঙ্গামারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আইবুল ইসলাম, পাটেশ্বরী বরকতিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি শামীম হোসেন ও প্রধান শিক্ষক রোকনুজ্জামান।এদিকে প্রতিষ্ঠান প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি প্রার্থী হাবিবুর রহমান মিলুর কাছ থেকে গোপনে ১২লাখ টাকা নিয়ে লোক দেখানো নিয়োগ পরীক্ষায় তাকে উর্ত্তীন করেন।
নিয়োগ পরীক্ষার প্রার্থীরা এ বিষযে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির অর্থ বানিজ্যের বিষয়টি অভিযোগ করে সুষ্ঠু বিচার চেয়েছেন।পাটেশ্বরী বরকতিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোকনুজ্জামান বলেন, অর্থ বানিজ্যের বিষয়টি আমি কিছুই জানিনা। মেধা যোগ্যতার ভিত্তিতে লাইব্রেরিয়ান নিয়োগ পরীক্ষা হয়েছে। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শামীম হোসেন বলেন, সঠিকভাবে পরীক্ষা হয়েছে।ভুরুঙ্গামারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আইবুল ইসলাম বলেন, লাইব্রেরিয়ান নিয়োগ পরীক্ষায় আমি ছিলাম তবে অনিয়ম হয়নি। এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার সামসুল আলম বলেন, লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। নিয়োগ পরীক্ষায় অর্থ বানিজ্যে প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন