ঢাকা অফিসঃ
ভারতের সাথে দীর্ঘ দিনের অমীমাংসিত বিষয়গুরলোকে গুরুত্ব না দিয়ে দেশের স্বার্থ বিরোধী ‘প্রতিরক্ষা চুক্তি’র বিষয়টি অপ্রয়োজনীয় বলে অভিমত প্রকাশ করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, সরকার একের পর এক বাংলাদেশের স্বার্থ বিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত। তাদের কাছে বাংলাদেশের চাইলে ভারতের স্বার্থই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, তিস্তার পানি আনা ছাড়া অন্য কোন চুক্তি দেশবাসী মানবে না, মানতে পারে না।

সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর আয়োজিত “ভারতের সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তি নয় : তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা চাই”-শীর্ষক নাগরিক মানববন্ধন কর্মসূচীতে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখছিলেন।

বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর সদস্য সচিব মোঃ শহীদুননবী ডাবলু’র সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া। সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন জাতীয় দলের চেয়ারম্যান এডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, কল্যাণ পার্টি মহাসচিব এম.এম আমিনুর রহমান, ন্যাপ সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য ভাষা সৈনিক আলহাজ্ব গোলাম সারওয়ার খান, বিএমএল মহাসচিব এডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জাগপা যুগ্ম সম্পাদক আসাদুর রহমান খান, কল্যাণ পার্টি ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদুর রহমান তামান্না, এনডিপির যুগ্ম মহাসচিব শামসুল আলম, সাবেক ছাত্রনেতা ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান কাজী ফারুক হোসেন, সম্পাদক মোঃ কামাল ভুইয়া, নগর যুগ্ম আহŸায়ক অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, সদস্য মিজনুর রহমান, জাতীয় ছাত্র কেন্দ্রের সমন্বয়কারী সোলায়মান সোহেল প্রমুখ।

মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ক্ষমতাসীন সরকার দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে অন্যের স্বার্থ রক্ষায় ব্যস্ত। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিসর্জন দিয়ে করা কোনো চুক্তি দেশের মানুষ মেনে নেবে না। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের তিস্তা চুক্তি না হলে অন্য যেকোনো চুক্তি হবে অর্থহীন। তিনি বলেন, সরকারকে দেশের মানুষের মনে ভাষা পড়তে হবে, বুঝতে হবে। অন্যথায় পরিনতি শুভ হবে না।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, দেশের স্বার্থ অক্ষুন্ন রেখে সীমান্তে হত্যাকান্ড বন্ধ, তিস্তা নদীর পানি বণ্টনসহ দুই দেশের মধ্যে অমীমাংসিত বিষয়গুলো মিমাংসা করা অগ্রাধিকারমূলক কর্তব্য। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য সে বিষয়ে দেশবাসী খুব বেশী আশাবাদী হতে পারছে না। কারণ, তিস্তা চুক্তিসহ দেশের স্বার্থের পক্ষের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো বাদ দিয়ে ‘প্রতিরক্ষা চুক্তি’ স্বাক্ষরের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, সীমান্তে হত্যা বন্ধ করতে, তিস্তা নদীর স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ নিশ্চিত করতে, সমতা ও ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে পানির অধিকার প্রদান করতে হবে। ভাটির দেশের সাথে আলোচনা ও সম্মতি ছাড়া উজানে বাঁধ নির্মানের মাধ্যমে পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা বন্ধ করতে করতে হবে। এই নীতির ভিত্তিতেই ‘তিস্তা চুক্তি’ সম্পাদন করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, সীমান্তে হত্যাকান্ড বন্ধ না হলে, তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বাংলাদেশকে বঞ্চিত করে রাখলে, বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে ভারত বিরোধিতা কেবল বৃদ্ধিই পেতে থাকবে। ফলে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের পরিবর্তে ক্ষতিগ্রস্থই হবে।

সভাপতির বক্তব্যে মোঃ শহীদুননবী ডাবলু বলেছেন, শক্তিশালী দেশের সঙ্গে যখন কোনো সামরিক-প্রতিরক্ষা চুক্তি করা হয় তখন সেই দেশ আরও শক্তিশালী হয়ে উঠে। দুর্বল দেশ শক্তিশালী হতে পারে না। দুর্বল থেকে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন