ঢাকা সংবাদদাতাঃ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, সরকার যে উন্নয়ন মেলা করছে, সেটা আসলে দুর্নীতি মেলা। কেননা, সরকার সব বড় বড় প্রকল্প হাতে নিচ্ছে। আর বড় বড় প্রকল্প মানে বেশি বেশি দুর্নীতি। বড় বড় প্রকল্প মানে বেশি বেশি ঘুষ। এসব প্রকল্পের মাধ্যমে জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, জাতির উদ্যোশ্যে প্রধানমন্ত্রীর ভাষন ছিল এক তরফা ও আত্মতুষ্টির বহি:প্রকাশ। তার ভাষনে গণতন্ত্রের সংকটের ও দেশের সত্যিকারের সংকটের চিত্র ছিল না।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট নামের সংগঠন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মওদুদ আহমদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন। কিন্তু সেখানে জনগণের দুঃখ কষ্টের কোনো প্রতিফলন নেই। তার ভাষণে কেবল তার সরকারের উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরা হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সংসদের প্রায় সব সদস্যই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের। তারপরও কোরাম (৬০ সদস্য) সংকট হয়। কিভাবে তিনি সংসদ চালান, ভাষণে তা বলেননি।
মাজদার হোসেন মামলার রায়ের মাধ্যমে বিচারবিভাগ পৃথকীকরণের মৃত্যু হয়েছে, তা বলেননি। দেশের গণতন্ত্র, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই, তাও বলেননি।
বর্তমান সংসদে অনির্বাচিত সংসদ সদস্য বেশি, কি করে তারা নির্বাচিত হলেন জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী তা বলতেও ভুলে গেছেন।
মওদুদ আহমদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে বলেছেন নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের সুযোগ সংবিধানে নেই। তিনি আসলে এ কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করেছেন। তিনি যদি সবকিছু ঊর্ধ্বে উঠে সবার দুঃখ কষ্টের কথা বলতেন তবে জনগণ বাহবা দিতো। ভাষণে যদি নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের রূপরেখা দিতেন, আমরাও বাহবা দিতাম। কাজেই তার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণ জনগণের গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেননি। কেননা, তার ভাষণে রাষ্ট্রীয় ব্যাংক ফুলকা হয়ে গেছে, বিএনপিকে নিশ্ছিন্ন করে দেওয়ার মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হচ্ছে, ছাত্রলীগ-যুবলীগের টেন্ডারবাজী, ব্যবস্থা দখল, দোকান দখল, ধর্ষণ, গুম, খুনের বিষয় উঠে আসেনি।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ও এলডিপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব মুজিবুর রহমান সারোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, বিএনপি নির্বাহী সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, খালেদা ইয়াসমিন, এনডিপি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, এলডিপি যুগ্ম মহাসচিব তমিজউদ্দিন টিটু, ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, শাহজাহান মিয়া সম্রাট প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *