নুরুন্নবী সরকার,স্টাফ রিপোর্টারঃ
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে এবারের বন্যায় ধরলা নদীর ভাঙ্গনের কবলে পরে ভিটেমাটি হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন বড়ভিটা ইউনিয়নের চর মেকলি, চর বড়ললই ও পশ্চিম চর ধনীরাম গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবার। অনেকেই শেষ সম্বল হারিয়ে হয়ে পড়েছেন দিশেহারা। মিলছে না পর্যাপ্ত ত্রাণ ও আর্থিক সহযোগিতা। তাই সরকারের কাছে আর্থিক সহযোগিতার দাবি জানিয়েছেন অসহায় পরিবারগুলো।
এবারে তিন ধাপের বন্যায় ধরলা নদীর ভাঙ্গনের কবলে পড়ে ভিটেমাটি হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন। একেকটি পরিবার ৫ থেকে ৭ বার করে ঘরবাড়ি স্থানান্তরিত করেও রক্ষা পাননি। অনেকেই আবার শেষ সম্বল হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। ভাঙতে ভাঙতে যখন সব শেষ তখন অসহায় হয়ে অনেককেই ছাড়তে হয়েছে জন্মস্থান এলাকা। অনেকেই আবার অন্যের জমিতে মাথা গোঁজার ঠাঁই পেলেও কর্মহীনতায় পরে ছেলে মেয়ে ও পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বিগত দুই বছরে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে প্রায় শতাধিক পরিবারের ভিটেমাটি।
নদী ভাঙ্গনের শিকার ভোলা মিঞা, ময়না বেগম, সামেদ আলী জানান, আমাদের বাড়ি সহ অন্যান্য মানুষের বাড়ি ধরলা নদীর প্রবল স্রোতে ভেঙে গেছে। আমাদের নিজের জায়গা জমি না থাকায় মানুষের জায়গায় কোন ভাবে আছি। করোনা ভাইরাসের কারণে বাইরে কোথাও কাজকর্ম করার জন্য যেতেও পারতেছি না। খাবার কোন কিছু নাই খুব কষ্টে আছি। এ পর্যন্ত আমরা কোন সাহায্য সহযোগিতা পাইনি, সরকার যদি একটু আমাদের সহযোগিতা করতো তাহলে আমরা বাঁচতে পারতাম।
রোজিনা বেগম ও শামসুল হক জানান, ধরলায় আমাদের বাড়িঘর সব ভেঙ্গে গেছে কোনমতে বসতঘর বাঁচাতে পেরেছি অন্যের বাড়িতে গিয়ে বাড়ি ঘর দুয়ার করব বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে খুব কষ্টে আছি সরকার যদি আমাদেরকে সাহায্য করে তাহলে একটু ভালোভাবে চলতে পারব।
বড়ভিটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খয়বর আলী জানান, আমার ইউনিয়নের ৭৫ টি বাড়ি ইতিমধ্যে নদীভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তারা বসত ভিটা ছেড়ে রাস্তায়, অন্যের জায়গায় ও আবাসনে বসবাস করছে। আমরা ইতিমধ্যে তাদের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনা খাবার দিয়েছি । তবে তাদেরকে সরকার আর্থিক সাহায্য করলে খুবই ভাল হত।
ফুলবাড়ী উপজেলা নিবার্হী অফিসার তৌহিদুর রহমান জানান, ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ডে ঘরবাড়ি নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে সেটি আমি শুনেছি আমি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে সেগুলো তালিকা করার নির্দেশ দিয়েছে, ইতিমধ্যে আমরা তাদেরকে সরকারি ত্রাণ ও দিয়েছি ভবিষ্যতে তাদের সাহায্যের জন্য কোন অনুদান আসলে আমরা দিয়ে দিব।