ফুলবাড়ী(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজলার নওদাবশ গ্রামের দুষ্কৃতিকারী আব্দুস সামাদ ও ফুলবাড়ী থানা পুলিশের এসআই প্রভাত চন্দ্রের যোগসাজসে ইউপি সদস্য সহ নিরীহ গ্রামবাসীর উপর মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ওই এলাকার দুই শতাধিক নারী পুরুষ।
শুক্রবার উপজেলার খড়িবাড়ী-বড়ভিটা সড়কের মধ্য নওদাবশ বাজারে সকাল ১১টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে গ্রামবাসীর মধ্যে জিকরুল বারী লিমন, প্রতাপ চন্দ্র রায় ও রুহুল আমিন বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা অভিযোগ করেন, মন্দিরের সামনে মলত্যাগ করার প্রতিবাদ করায় কিছুদিন আগে ওই গ্রামের আব্দুস সামাদ তার স্ত্রী ফজিলা বেগম ও নাতনি ফারজানার সাথে একই গ্রামের রবিন্দ্রনাথ রায়ের ভাই-ভাতিজাদের হাতাহাতি হয়। অভিযোগ পেয়ে ফুলবাড়ী থানার এসআই প্রভাত চন্দ্র ঘটনাস্থলে গিয়ে সামাদের পক্ষ নিয় উপস্থিত গ্রামবাসীদের হুমকি-ধামকি দেন। ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান দুলু প্রতিবাদ করলে এসআই প্রভাত তাকে থানায় ধরে আনতে উদ্দ্যত হন এবং তার নাম ঠিকানা লিখে নেন।
কয়েকদিন পর গত ২০ সেপ্টেম্বর ভোরে আব্দুস সামাদ গং রবিন্দ্রনাথ রায়ের ভাই সুনিল চন্দ্র ও ভাতিজা সন্তোষ চন্দ্রকে মারপিট করে আহত করলে উভয় পক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করে। তখন এস আই প্রভাত চন্দ্র আব্দুস সামাদের সাথে যোগসাজস করে ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান দুলুর নাম মামলায় অন্তর্ভুক্ত করে ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড করে। আর রবিন্দ্রনাথের মামলার গুরত্বপুর্ন অভিযোগ বাদ দিয়ে দুই দিন পর রেকর্ড করা হয়। এ ঘটনায় নিরীহ গ্রামবাসী ও নিরপধাধ ইউপি সদস্যকে মামলায় জড়ানোর প্রতিবাদে বিক্ষুদ্ধ গ্রামবাসী মানববন্ধন করে দায়ী পুলিশ সদস্যের বিচারের দাবী জানান।
এ প্রসঙ্গে ফুলবাড়ী থানার এসআই প্রভাত চন্দ্র জানান, ঊর্ধতন কর্তপক্ষের নির্দেশে মামলা হয়েছে। এখানে আমার বলার কিছু নাই।
ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ রাজীব কুমার রায় জানান, দুই পক্ষের মামলাই রেকর্ড করা হয়েছে। মানববন্ধনের ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা।