ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি ঃ
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নেওয়াশী গ্রামের বছির উদ্দিন(৮৫) গত শুক্রবার দুপুরে বার্ধক্য জনিত কারনে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। নিহত বছির উদ্দিনের আত্মীয়-স্বজন তার দাফন কাপনের ব্যবস্থা করে যাবতীয় কার্য সম্পাদন করে শতশত মুছল্লী জানাযায় দাড়ায়। এ সময় নিহত বছির উদ্দিনের দ্বিতীয় স্ত্রী শাকরা বেগম(৪৫)জানাজায় শতশত মানুষের উপস্থিতে স্বামীর আত্মীয়-স্বজনদের কাছে দেনমোহরের দাবী করে বলেন দেনমোহর না দেয়া পর্যন্ত আমার স্বামীর লাশ দাফন করা যাবে না। তিনি কান্নাজরিত কন্ঠে জানান,আমার কোন সন্তান নেই,আমার ভবিষ্যৎ কি হবে। আমার স্বামীর প্রথম স্ত্রীর দুই মেয়ে সন্তান আছে। এখন আমার স্বামী নেই। কে আমাকে দেখাশুনা করবে। আমার কোন ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত লাশ দাফন করবে না বলে অনুরোধ করেন বছির উদ্দিনের স্বজনদের কাছে।

মৃতের আত্মীয় স্বজন সুত্রে জানাগেছে, নিহত বছির উদ্দিনের ১ম স্ত্রী ১৫ বৎসর আগে মারা গেলে ২য় স্ত্রী শাকরা বেগমকে বিয়ে করেন। প্রথম স্ত্রীর দুই মেয়ে। দ্বিতীয় স্ত্রীর কোন সন্তান নেই। গত শুক্রবার বছির উদ্দিন মারা যাওয়ার সংবাদ শুনে প্রথম স্ত্রীর দুই মেয়ে তার স্বামী সন্তানসহ তার বাবার বাড়ীতে আসে। তাতেই বিপত্তি বেধে যায়, মা ও মেয়ের মধ্যে।

এলাকাবাসী নিহতের জানাজা শেষে লাশ দাফন না করে সবাই চলে যায়। এ ঘটনায় ওই এলাকায় চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে। দিনভর দফায় দফায় বৈঠক হলেও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। পরে বিষয়টি এলাকাবাসী ফুলবাড়ী থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে এলাকাবাসী ও নিহতের দুই স্ত্রীর আত্মীয়-স্বজনদের সাথে বৈঠক করলে বিষয়টি মীমাংসা হয়। পরে দ্বিতীয় স্ত্রী শাকরা বেগমকে নগদ ৬০ হাজার টাকা ও নিহত স্বামীর সম্প্রতির দুই আনা সম্পত্তির অংশ দেওয়ার প্রতিশ্র্রুতি দিলে অবশেষে রাত দেড় টায় স্বামীর লাশ দাফনের অনুমতি দেয়। পরে এলাকাবাসী পুলিশের উপস্থিতিতেই নিহত বছির উদ্দিনের লাশ দাফন করে।

এ প্রসঙ্গে ফুলবাড়ী থানার এস আই মহুবর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন