শেখ সাইফুল ইসলাম কবির:
বাগেরহাটের মোল্লাহাটে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত কলেজ ছাত্র আজিজুল ইসলামের (১৮)মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে মাওয়া ফেরিতে এ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে মারা যায় আজিজুল। মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার ময়না তদন্ত সম্পূর্ণ হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত আজিজুলের ভাই রুবেল হোসেন বাদী হয়ে মোল্লাহাট থানায় হামলাকারী ১০ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
নিহত আজিজুল ইসলাম মোল্লাহাট উপজেলার সরসপুর গ্রামের সাখাওয়াত মুন্সির ছেলে এবং মোল্লাহাট কারিগরি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
মামলার বিবরণে জানা যায়, জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে গত রবিবার বিকেলে সরসপুর গ্রামের বিরোধপূর্ণ জমির সুপারি পাড়তে যায় সাখাওয়াত মুন্সির প্রতিপক্ষ পিকিং ও এবাদাত বিশ্বাসসহ কয়েকজন। এসময় সাখাওয়াত মুন্সি ও তার ছেলেরা পিকিংদের বাঁধা দিলে তারা সংঘবদ্ধ হয়ে সাখাওয়াতের বাড়িতে এসে হামলা করে।এসম সাখাওয়াত মুন্সি (৫৮), তার স্ত্রী রোকসানা বেগম (৫৪) এবং কলেজ পড়ুয়া ছেলে আজিজুল ইসলামকে কুপিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এর মধ্যে আশঙ্কা জনক অবস্থায় আজিজুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আজিজুল মারা যায়।
নিহত আজিজুলের বড় ভাই রুবেল হোসেন বলেন, ভাইকে হারালাম। বাবা-মায়ের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তারা খুলনার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। জানিনা তাদের কি হবে। প্রতিপক্ষের সাথে যে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল বিভিন্ন মামলা ও শালিষ বৈঠকে আমাদের পক্ষে রায় এসেছে। তারপরও তারা জোর পূর্বক আমাদের জমি দখলের চেষ্টা করে। আমার ভাইকে হত্যা করল। আমি এর বিচার চাই।
মোল্লাহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কবির বলেন, আজিজুল হত্যাকান্ডের ঘটনায় তার বড় ভাই রুবেল হোসেন মুন্সি বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। আসামীদের আটকের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন