ঢাকা সংবাদদাতাঃ
বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সিপিবি, বাসদ, গণতান্ত্রিক বামমোর্চার ৩০ নভেম্বরের হরতালে দেশব্যাপী অর্ধদিবস হরতালের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি এবং জোটের বাইরের বাংলাদেশ জাতীয় দল ও গণতান্ত্রিক ঐক্য।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে “বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ও মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবীতে” বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ আয়োজিত মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশকালে ৪ দলের নেতারা এই সমর্থন ব্যক্ত করেন।
এসময় হরতালের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপন করে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান এডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, এনডিপি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, গণতান্ত্রিক ঐক্যের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম।
এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান সরকার দেশ ও জনগণের সাথে প্রতিনিয়ত প্রতারনা করে চলেছে। বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির আগে কথিত গণশুনানীর নামে জনগণের সাথে রীতিমত তামাশা করা হয়েছে। কথিত শুনানী বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির বিরোধীতা করা হলেও সরকারী দলের রাঘব বোয়ালদের অবৈধ ও অনৈতিক পন্থায় পটেক ভারী করতেই বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করেছে। ফলে দেশের অর্থনীতি ও উন্নয়ন কর্মকান্ডে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভার পড়বে এবং দেশের সার্বিক উন্নয়ন ক্ষতিগ্রস্থ হবে। বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির কারণে উৎপাদন খরচ বাড়বে এবং দেশে ভীষণভাবে মূল্যষ্ফীর্তি দেখা দেবে। যা দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠির স্বাভাবিক জীবন-যাত্রাকে হুমকীর মুখে ফেলবে।
তারা বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের উপাদান জ্বালানি তেলের দাম আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কমে গেলেও বাংলাদেশে তা কমানো হয়নি। বিদ্যুতের জন্য আমদানি মূল্যে জ্বালানি সরবরাহ এবং ভর্তুকির টাকাকে ঋণ হিসেবে দেখিয়ে সুদ ধার্য না করলে বিদ্যুতের দাম কোনো ক্রমেই বাড়ানোর প্রয়োজন হবে না বলে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এবং পিডিবি’র চেয়ারম্যান বলেছিলেন। তারপরও আমদানি মূল্যে জ্বালানি তেল সরবরাহ না করে দাম বাড়ানোর ঘোষণা তাহলে কার স্বার্থে-দেশবাসী তা জানতে চায়।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, এমনিতেই চাল, ডাল, তেল, নুন, পিয়াজসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত। এরপর বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা মরার উপর খাড়ার ঘা’র সামিল।