স্টাফ রিপোর্টারঃ
নাগেশ্বরীর ব্রহ্মতর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার বেহাল দশা। সরকারী নির্দেশনায় সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত বিদ্যালয় চলার নিয়ম থাকলেও সাড়ে ৩ টায় ছুটি। কর্মরত শিক্ষকদের ১ জন ছুটিতে থাকলেও ৩ জনের ২ জনই অনুপস্থিত থাকায় শিক্ষার বেহাল দশা ধরেছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
জানাগেছে,উপজেলার ব্রহ্ম¥তর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের দায়িত্বে অবহেলা ও ইচ্ছামত বিদ্যালয় ছুটি দেয়ার কারনে অধ্যয়নরত ২২৭ জন শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে অভিভাবকদের মাঝে। স্থানীয়রা জানায় বিদ্যালয়ে ৪জন শিক্ষক থাকলেও একজন সিইনএড প্রশিক্ষণে থাকায় বাকী শিক্ষকরাও ঠিকমত দায়িত্ব পালন করছেন না। তারা সরকারী আইনকে তোয়াক্কা না করেই ইচ্ছেমত বিদ্যালয় পরিচালনা করায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ক্রমশঃ নি¤œগামী হচ্ছে। স্থায়ীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২৩ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৩টায় বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে দেখা গেছে শিক্ষার্থীরা বাড়ি ফিরছে। তাদের জিজ্ঞাসা করলে তারা জানান,বিদ্যালয়ে ৩ জন শিক্ষকদের মাঝে মাত্র ১ জন উপস্থিত বাকীরা অনুপস্থিত থাকায় তাদের নির্ধারিত সময়ের ১ ঘন্টা আগেই ছুটি দিয়েছে। বিদ্যালয়ে গিয়ে দায়িত্বরত শিক্ষিকা শেফালী খাতুনকে নির্ধারিত সময়ের পুর্বে ছুটি দেয়ার কারন জানতে চাইলে তিনি জানান,এত শিক্ষার্থীরা একাই নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব নয় বলে ছুটি দিয়েছেন বলে জানান। বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মিনা পারভীন অফিসের কাজে নাগেশ্বরীতে এবং অপর শিক্ষিকা লাভলী খাতুন ছুটির আগেই চলে গেছেন বলে জানান। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মিনা পারভীনকে সাড়ে ৩ টায় বিদ্যালয় ছুটি দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। সাড়ে ৩ টায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ছুটি দেয়ার বিষয়ে নাগেশ্বরী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোসলেম উদ্দিনের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান,বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।অনতি বিলম্বে বিদ্যালয়ে কর্তব্যরত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে শিক্ষার মান ক্রমশঃ নি¤েœ ধাবিত হবে বলে আশংকা করেছেন এলাকার অভিজ্ঞ মহল।