ভুরুঙ্গামারী(কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতাঃ
ভুরুঙ্গামারীতে কল্পনা খাতুন নামের এক কিশোরীকে ফুসলিয়ে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ভারতে পাচার। । সংঘবদ্ধ নারী পাচারকারী দলের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের।
জানাগেছে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের নলেয়া গ্রামের জনৈক আব্দুর রহিম (কলম) মিয়ার কন্যা কল্পনা খাতুন ভুরুঙ্গামারী কিশলয় বিদ্যা নিকেতনের ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী। ৩ মাস পুর্বে একই উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের তালুক মশালডাঙ্গা গ্রামের হাবিবুর রহমান হাবু (২৫) এর সাথে বিয়ে হয়। গত ৮ জুন/২০১৬ বুধবার স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি আসলে পরের দিন প্রতিবেশী জুলেখা খাতুন ও কহিনুর বেগম কল্পনাকে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে কহিনুরের দুর সম্পকেরর্ ভাই চরভুরুঙ্গামারী ইউনিয়নের ভাওয়ালকুড়ি গ্রামের জালাল উদ্দিনের পুত্র সাদ্দাম হোসেন (৩০) হাতে তুলে দিলে সাদ্দাম কল্পনাকে নিয়ে উধাও হয়। কল্পনার বাড়ির লোকজন তাকে খোজার জন্য কহিনুর ও জুলেখার বাড়িতে গেলে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং কল্পনাকে তার পিতামাতার হাতে ফেরৎ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। পরবর্তিতে কল্পনা ভারতের মোবাইল(+91754754996) নম্বর থেকে তার বড় ভাই মজনু মিয়ার মোবাইলে কথা বলে এবং তাকে ভারতে নারীপাচারকারীদের নিকট বিক্রি করা হয়েছে বলে জানান।
খোজ নিয়ে জানাগেছে উক্ত সাদ্দাম হোসেন ভারতের দিল্লীতে শ্রমিকের কাজ করে আসলেও সে সংঘবদ্ধ নারী পাচারকারী দলের সক্রিয় সদস্য। কন্যাকে ফেরৎ না পেয়ে কল্পনার পিতা ভুরুঙ্গামারী থানায় ৪ জনকে আসামী করে অভিযোগ দায়ের করেছে।
এ ব্যাপারে ভুরুঙ্গামারী থানা ভারপ্রাপ্ত অফিসার জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান,অভিযোগ পেয়েছি ঘটনা তদন্তের জন্য এসআই ফারুকীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।