স্টাফ রিপোর্টারঃ
ভূরুঙ্গামারীতে আদালতের নির্দেশে জমির দখল পেয়েও ভুমিদস্যুদের হুমকিতে একটি পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
জানাগেছে উপজেলার বঙ্গসোনাহাট ইউপির মৃত আব্দুল মুন্সীর পুত্র ইউসুফ আলীর পৈত্রিক সম্পত্তির ৭০ শতাংশ জমি একই গ্রামের মৃত শুক্কুর হাজীর পুত্র মোঃ আমিন,বাদল ও সৈয়দ আলী কাগজপত্র না থাকা সত্বেও জোরপুর্বক দখল করে ভোগ করে আসছিল। ইউসুফ আলী জমির দখল নিতে কুড়িগ্রাম আদালতে একটি মামলা দায়ের করে যার নং ৫৬/২০১৩। উক্ত মামলা শুনানীর পর ইউসুফ আলীর পক্ষে রায় হলে সিডি নং ২০৪৬ দাখিল করে। পরবর্তীতে ম্যাজিষ্ট্রেট ও পুলিশের মাধ্যমে ইউসুফ আলীকে জমির দখল বুঝিয়ে দেয়া হয়। এদিকে গত ২৫ এপ্রিল/২০১৮ তারিখে ভুমিদস্যু হিসাবে খ্যাত আমিন,বাদল ও সৈয়দ আলীর লোকজন দিনদুপুরে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জমির সীমানা খুটি তুলে ফেলে আবারও দখলের চেষ্টা চালায়। পরেরদিন ইউসুফ আলী আবারও ভূরুঙ্গামারী থানায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে এসআই ওসমানগনীর নেতৃত্বে পুলিশ প্রধান আসামী আমিনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করে। কিন্তু গত ৩০ এপ্রিল/২০১৮ সোমবার ইউসুফ আলী জমিতে থাকা বাশঝাড় কাটতে গেলে অন্যকোন মামলা না থাকা সত্বেও ভূরুঙ্গামারী থানার এসআই ওসমান গনী সহ থানা পুলিশ দল তাকে বাঁশ কাটতে নিষেধ করলে এলাকাবাসী আদালত বড় না পুলিশ বড় এবং কোন আইনে নিষেধ করা হচ্ছে বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সাথে চ্যালেঞ্জ করলে পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিত্যাগ করে। এলাকাবাসীর মিজানুর রহমান,সাইফুর রহমান সহ অনেকে জানান,আদালতের নির্দেশে ভুরুঙ্গামারী থানার এসআই ওসমানগনী নিজে উপস্থিত থেকে জমির দখল বুঝিয়ে দিয়ে আবার ইউসুফকে জমিতে কাজ করতে পুলিশের বাঁধা দেয়ার ঘটনা রহস্যজনক বলে মনে হচ্ছে। ,শুধু তাই নয় ভুমিদস্যুরা জমি ছেড়ে না দিলে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় হয়রানীসহ প্রাননাশের অব্যাহত হুমকিতে পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলেও জানান । এ বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী থানার এসআই ওসমানগনীকে কয়েকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও ফোন রেসিভ করেন নাই। ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ তাপস চন্দ্র পন্ডিত জানান,আদালতের নির্দেশেই পুলিশ জমির দখল বুঝিযে দিয়েছে। শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে যাতে কোন পক্ষই বিশৃংখলা করতে না পারে এজন্য ঐ দিন পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। জমির মালিককে কাজ করতে বাঁধা বিষয়টি সঠিক নয়।
###