ভুরুঙ্গামারী(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
ভুরুঙ্গামারীতে ইউপি চেয়ারম্যানের কুটকৌশলে শ্বশুড় কর্তৃক ইয়াবা দিয়ে জামাতাকে আটক ।
জানাগেছে উপজেলার সদর ইউপির বাগভান্ডার গ্রামের আব্দুল জলিলের পুত্র জাহিদুল ইসলাম (২৭) এর সঙ্গে একই উপজেলার পাথরডুবি ইউপির ফুলকুমর গ্রামের আবুল হোসেনের কন্যা আমেনা (২৫) এর সঙ্গে প্রায় ৮ বছর পুর্বে বিয়ে হয় এবং আব্দুল্লাহ আল আদিব নামে একটি ৭ বছরের পুত্র সন্তান রয়েছে। পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারনে আমেনা বাদী হয়ে তার স্বামী সহ ৪/৫ জনের নামে যৌতুক,নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে দুটি পৃথক মামলা করে। এদিকে জাহিদুল ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকুরী করে প্রতিমাসে কুড়িগ্রাম আদালতে হাজিরা দিতে আসলে উভয়ের দ্বন্দ্ব অবসানে আদালতে মামলা চলাকালীন ৪/৫ মাস পুর্বে আমেনা পালিয়ে তার স্বামীর নিকট চলে যায় এবং গার্মেন্টসে চাকুরী করতে থাকে।
গত ১২ ফেব্রুয়ারী তারা দুজনেই ঢাকা থেকে কুড়িগ্রামে পৌছলে আমেনার স্বজনরা আমেনাকে সংসার করাবেনা মর্মে বাড়িতে নিয়ে যায়। পরেরদিন জাহিদুল তার শ্বশুড় বাড়িতে তার স্ত্রীকে আনতে গেলে শ্বশুড়বাড়ির লোকজন তাকে আটক করে পাথরডুবি ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির মিঠুকে সংবাদ দেয়। উক্ত চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে এসে উক্ত জাহিদুলকে ইউপি ভবনে নেয়ার জন্য মাজেদুল নামে এক গ্রাম পুলিশের নিকট হস্তান্তর করে। মাজেদুল তাকে ইউপি ভবনে আটক করে আবারও আমেনার বাড়িতে আসার পর আমেনা তাকে ৬ টি ইয়াবা টেবলেট দেয়। পরে উক্ত চেয়ারম্যান জাহিদুলকে ঐ ইয়াবা টেবলেট সহ ভুরুঙ্গামারী থানায় হস্তান্তর করলে বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অফিসার ইনচার্জ শ্রী তাপস চন্দ্র পন্ডিত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান,দু পক্ষের পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে এই ঘটনার সুত্রপাত বলে ধারনা করা হচ্ছে। এলাকাবাসী জানায় পাথরডুবি ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির মিঠুর প্রত্যক্ষ মদদে তাকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আটক জাহিদুলকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।