ক্রাইম রিপোর্টার,কুড়িগ্রামঃ
ভূরুঙ্গামারীতে একটি সাজানো মামলায় আটকে রেখে অগ্নিসংযোগ, বাড়ি ভাংচুর ও কুপিয়ে জখম করায় আসামীদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনেও ব্যবস্থা না নেয়ায় প্রতিকার চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর দপ্তরে লিখিত অভিযোগ ঘটনা সরেজমিন তদন্তে জানাগেছে উপজেলার পাথরপুবি ইউনিয়নের দিয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত জবান আলীর পুুত্র আব্দুল মান্নান গংয়ের সঙ্গে তার জেঠাত ভাই বোনদের জমিজমা নিয়ে নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল এবং জমির বাটোয়ারা মামলা চলমান রয়েছে যার মোকদ্দমা নং ১৪৩ তারিখ ৩০/১১/২০১৭। এদিকে এলাকার ভুমিদস্যু ও ভারতীয় চোরাকারবারী ও গরু ব্যবসায়ী উত্তর তিলাই গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের পুত্র সন্ত্রাসী আসাদুল বাটোয়ারা মামলা থাকা সত্বেও আব্দুল মান্নানের জেঠাত বোন খাতেমনের নিকট থেকে উক্ত জমি নামে মাত্র কিনে নিয়ে দখলের চেষ্টা করতে থাকে। জমি দখল করতে না পেয়ে বিভিন্ন কুটকৌশল করে আব্দুল মান্নান ঢাকায় কাজ করতে গেলে সেই সুযোগে গত ১ এপ্রিল ভুরুঙ্গামারী থানায় মান্নানের বাড়িটিকে খাতেমনের বাড়ি সাজিয়ে বাড়ি ভাংচুরের মামলা করে রাত সাড়ে ১২ টার সময় আব্দুল মান্নানের দুইভাই আব্দুর রহিম ও মোহাম্মদ আলীকে আটক করে থানা হাজতে রেখে পরের দিন সকাল ১১ টায় সময় তারা হাজতে থাকাকালীন দিয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত মনু গিদালের পুত্র গোলাপ উদ্দিনের বাড়িতে গোপন বৈঠক করার পর আসাদুল হক ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর লোকজন দিনদুপুরে মান্নানের বাড়িতে লাঠি,দা,বটি,কুড়ালসহ বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে বাড়ির মুল্যবান জিনিসপত্র সহ তিনটি টিনের ঘর ভাংচুর করে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সময় মান্নানের স্ত্রী, সহ আত্মীয় স্বজনরা বাঁধা দিলে আসাদুল ও ধলডাঙ্গা গ্রামের মৃত ইমান আলীর পুত্র দুলাল মান্নানের বোন মালেঞ্চা বেগম (৩০)কে এলোপাথারী কুপাতে থাকে। তার চিৎকারে মান্নানের ভাই মামুন মিয়ার স্ত্রী সুফিয়া বেগম তাকে উদ্ধার করতে গেলে তাকেও মাটিতে ফেলে গলাটিপে হত্যার চেষ্টা এবং শ্লীলতাহানী করে। তাদের আর্ত চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসায় সন্ত্রাসী,আসাদুল,জাহাঙ্গীর সহ সবাই অস্ত্র উচিয়ে দ্রুত সটকে পড়ে। পরে এলাকাবাসী মালেঞ্চা বেগম ও সুফিয়া বেগমকে উপজেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। এবং মান্নানকে সংবাদ দিলে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসে। বাড়িতে আসার পর আহতদের চিকিৎসা এবং বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসার চেষ্টা ব্যর্থ হলে পরে থানার রহস্যজনক ভুমিকার কারনে গত ১১ এপ্রিল বিজ্ঞ আমুলী আদালত ভুরুঙ্গামারী,কুড়িগ্রামে ভুমিদস্যু ,সন্ত্রাসী এবং ভারতীয় চোরাকারবারী আসাদুল এবং তার সহযোগী জাঙ্গীর আলম,গোলাপ উদ্দিন,শহিদুল,খাতেমন সহ ২২ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করে যার নং ৬৬/১৮। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম ডিবি অফিসকে দায়িত্ব দিলে তারা ইতিমধ্যে মামলাটি সরেজমিনে তদন্ত করেছেন বলে মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই আসাদুজ্জামান জানান। এদিকে আব্দুল মান্নান বাড়িতে এসে মামলা করায় এবং তার দুভাই জেলহাজত থেকে জামিনে বাড়িতে আসায় আসাদুল,জাহাঙ্গীর সহ অন্যান্য আসামীরা আবারও পরামর্শদাতা গোলাপ উদ্দিনকে দিয়ে পাতরডুবি ইউনিয়ন গ্রাম আদালতে আরও একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে বলে ভুক্তভোগী আব্দুল মান্নান জানান। এ বিষয়ে পাথরডুবি ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির মিঠুকে জিজ্ঞাসা করলেও তিনি জানান,আসামীরা দিনদুপুরে এভাবে বাড়ি ভাংচুর এবং মহিলাদের কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটালেও পুলিশের রহস্যজনক ভুমিকা জনমনে প্রশ্ন বিদ্ধ। এছাড়া গোলাপ উদ্দিন নামে একজন আবারও আমার গ্রাম আদালতে মান্নান ও তার ভাইয়ের নামে আমার ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালতে একটি মামলা করেছে । এলাকাবাসীর চাঁন মিয়া,শাহা আলম,তারেকজন বিবি,জয়নাল আবেদীন ও ইসমাইল হোসেন জানান,আমাদের জানামতে দীর্ঘ ৪০/৫০ বছর যাবৎ এ জমি আব্দুল মান্নানের পিতা মৃত জবান আলী ভোগদখল করে আসছিল। তার মৃত্যুর পর মান্নান পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত হয়ে ভোগদখল করে বসতবাড়ি নির্মাণ করে বাসবাস করে আসছে এখানে শুধু আজ নয় ৫০ বছরের মধ্যে মান্নানের জেঠাত বোন খাতেমনের বাড়ি বা তার পিতার বাড়ি বা দখলে ছিলনা। এলাকার চিহ্নিত ভুমিদস্যু ও সন্ত্রাসী লোকের চক্রান্তে তিলাইয়ের ভুমিদস্যু ও ভারতীয় চোরাকারবারী হিসাবে খ্যাত আসাদুল হক টাকার বিনিময়ে পুলিশকে ম্যানেজ করে থানায় মিথ্যা মামলা করে তার দুইভাইকে থানায় আটক রেখে দিনদুপুরে বাড়ি ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে এবং দুজন মহিলাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। অথচ পুলিশ এসে আসামীদের বিরুদ্ধে কিছুই করেনাই। এলাকাবাসী আসাদুল জাহাঙ্গীর সহ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানিয়ে বলেন ইতিপুর্বেও জমিজমার জের ধরে দিয়াডাঙ্গায় একই বাড়িতে ৪ টি হত্যাকান্ড ঘটেছে। অনতি বিলম্বে সন্ত্রাসী আসাদুল সহ জড়িতেদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নিলে যেকোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘষের ঘটনা ঘটতে পারে। সন্ত্রাসী আসাদুল,জাহাঙ্গীর সহ জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে গত ১০ মে ২০১৮ ইং তারিখে মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী,পুলিশ মহাপরিদর্শক,কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক,জেলা পুলিশ সুপারের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।