ষ্টাফ রিপোর্টার-কুড়িগ্রাম
ভুরুঙ্গামারীতেএক অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যের অত্যাচার ও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে একটি মুক্তিযোদ্ধার কন্যাকে ভিটে ছাড়ার পায়তারা। অব্যাহত হুমকিতে দিশেহারা হয়ে অবশেষে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছে উক্ত পরিবারটি।
জানাগেছে,উপজেলার ভুরুঙ্গামারী ইউনিয়নের দেওয়ানের খামার গ্রামের মৃত সমেস উদ্দিনের পুত্র আবুল হোসেনের সঙ্গে পাইকেরছড়া ইউপির বীরমুক্তিযোদ্ধা ও সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য মৃত আব্দুল মজিদ সরকারের কন্যা লাইজু বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর সুখে শান্তিতে বসবাস করে আসলেও উক্ত আবুল হোসেনের অন্য তিন ভাইয়ের নিকট থেকে নুরমোহাম্মদ আলী নামে অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য ১২ শতক জমি কিনে নিয়ে বাড়ি নির্মান করে ঐ পরিবারটির জমি কিনতে না পেয়ে ভিটে থেকে উচ্ছেদের বিভিন্ন পায়তারা করতে থাকে। এদিকে উক্ত লাইজুর স্বামীর ৪ শতক জমির মধ্যে অর্ধশতক জমি জোর করে দখল করে পাকা বাড়ি নির্মান করে উক্ত নুর মোহাম্মদ। বিষয়টি স্থানীয় গন্যমান্যরা গ্রাম্য সালিশ করেও কোন সুরাহা করতে না পারায় তারা আরো হিৎ¯্র হয়ে উঠে এবং আবুলের সীমানা ঘেষে পুকুর খনন করলে তাদের বসতবাড়ির গাছপালা ও সীমানা পুকুরে ভেঙ্গে পড়ে। এদিকে গত ৯ ফেব্রুয়ারী আবুল তার বাড়ির ল্যাট্রিনের জন্য রাতে ইটের খোয়া ভাংলে পরের দিন কোন কারন ছাড়াই নুরমোহাম্মদ ,তার পুত্র সাদ্দাম হোসেন,ফজলুল হক,স্ত্রী সালেহা বেগম ও ফজলুল হকের স্ত্রী নুরজাহান বেগম দা,কুড়াল,লাঠি সোঠা নিয়ে তাদের উপর চড়াও হয়ে বাড়িতে জোর পুর্বক প্রবেশ করে মারপীট করতে গেলে উভয় পক্ষের বাকবিতন্ডা,হট্টগোল শুনে এলাকাবাসী এগিয়ে আসায় নুরমোহাম্মদ গং উক্ত আবুল হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী,গুম,খুন হত্যার হুমকি দিয়ে দ্রুত সটকে পড়ে। বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধার পরিবারটি তাদের ভয়ে চলাচল করতে সাহস পাচ্ছেনা। উল্লেখ্য উক্ত নুরমোহাম্মদ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য এবং বিএনপির কর্মী বলে এলাকায় বিভিন্ন জনের সঙ্গে ঝগড়া ফ্যাসাদ করায় তার অত্যাচারে এলাকার অনেকেই অতিষ্ট বলে অনেকে অভিযোগ করেন। অনতি বিলম্বে নুরমোহাম্মদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন না করলে যেকোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ সহ প্রাননাশের আশংকা করছেন এলাকাবাসী। পরে গত ১১ ফেব্রুয়ারী আবুল হোসেন ও তার স্ত্রী লাইজু বেগম নুর মোহাম্মদ আরমীর দৃষ্টান্তমুলক বিচার চেয়ে,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী,কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক,জেলা পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে অফিসার ইনচার্জ তাপস চন্দ্র পন্ডিতের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান,অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএইচএম মাগফরুল হাসান আব্বাসী জানান,অভিযোগ এখনও পাইনি পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।