ভুরুঙ্গামারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
ভুরুঙ্গামারীর লায়ন চক্ষু হাসপাতালের সংবাদ প্রকাশের পর ঠাকুরগাও থেকে প্রতারিতরা এসে হাসপাতালে অবরুদ্ধ করে পাওনা টাকার অগ্রিম চেক নিয়ে ফিরে গেল। পাওনা টাকা পাবে কিনা সন্দেহের ধুম্রজালের সৃষ্টি।
জানাগেছে উপজেলার ভুরুঙ্গামারী সদর ইউপির দেওয়ানের খামার গ্রামের জনৈক আবুল কালাম ও মেরিন ইঞ্জিনিয়ার জহুরুল হকের বাসা ভাড়া নিয়ে দিনাজপুর সদর উপজেলার নিউটাউন এলাকার মুনিরুজ্জামানের পুত্র স্বঘোষিত লায়ন টি হোসেন তুহিন নিজেকে রাশিয়ার চক্ষু বিশেষজ্ঞ হিসাবে পরিচয় দিয়ে লায়ন কমিউনিটি চক্ষু হাসপাতাল নাম দিয়ে বিভিন্ন এলাকার বেকার যুবক যুব মহিলাদের নিকট থেকে ২৫/৩০ হাজার টাকা নিয়ে প্রায় ৫৫/৬০ জনকে উক্ত হাসপাতালে চাকুরী দেয়। ভুল চিকিৎসার কারনে এদিকে সেবা নিতে আসা রোগীদের অধিকাংশের অবস্থা অবনতি হলে গত ২৩ জানুয়ারী কয়েকজন রোগীর স্বজনরা উক্ত ভুয়া চিকিৎসক তুহিনকে গনধোলাইয়ের চেষ্টা করলে রোগীর যাবতীয় ক্ষতিপুরণ দেবার অঙ্গীকারে তাকে ছেড়ে দেয়। বিষয়টি গনমাধ্যমে প্রকাশের পর ঠাকুরগাও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন প্রতারিতরা বিষয়টি জানতে পেয়ে গতকাল বুধবার তাদের ৫/৭জন ভুরুঙ্গামারীতে এসে উক্ত প্রতারক তুহিনকে আটক করে। প্রতারিতদের মধ্যে আশরাফুল আলম আকাশ জানান,উক্ত তুহিন ভুরুঙ্গামারীতে নিজের পরিচয়কে গোপন রেখে ভুয়া ব্যবসা করে যাচ্ছে। ইতিপুর্বে ঠাকুর গাও এলাকায় চক্ষু হাসপাতাল দিয়ে ৩৫/৩৬ জনের নিকট থেকে ১৫/২০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে রাতের আধারে উধাও হয়। তার প্রকৃত পরিচয় সম্পর্কে জানান,সে কোন চক্ষু বিশেষজ্ঞ নয়। তুহিন ঠাকুরগাও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার চন্দরিয়া গ্রামের এরফান আলীর পুত্র। তার পিতাও একজন প্রতারক শ্রেণীর লোক এলাকায় বিভিন্ন জনের নিকট থেকে কয়েক লক্ষ টাকা প্রতারনা করে এলাকা থেকে অন্যত্র পালিয়ে যায়। তুহিন পঞ্চগড় ,ঠাকুরগাও,দিনাজপুর ও নীলফামারীর বিভিন্ন এলাকায় ্এভাবে প্রতারনার কৌশল হিসাবে চক্ষু হাসপাতাল খুলে চিকিৎসার নামে ভুল চিকিৎসা দিয়ে এবং লোাক নিয়োগের নামে প্রতারনা করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়াই তার একমাত্র পেশা। পরে তুহিনকে আটককারী ৩ জন পাওনাদারকে জনতা ব্যাংক ভুরুঙ্গামারী শাখার অনুকুলে ১৫ ফেব্রুয়ারী/২০১৮ অগ্রিম তারিখে টাকা উত্তোলনের জন্য ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার চেক প্রদান করলে তাকে ছেড়ে দেয়। পাওনাদার নাইম জানান, চেক দিয়েছে সত্য তবে চেকের টাকা পাওয়া যাবে বলে মনে হয়না,ভুরুঙ্গামারী থেকেও যেকোন মুহুর্তে পারিয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এদিকে গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ অফিসার শ্রী সুভাস চন্দ্র সরকার জানান,আমরা সিভিল সার্জনের নির্দেশে হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ করে সাইনবোর্ড খুলে দিয়েছি কিন্তু উক্ত হাসপাতালের পরিচালক তুহিন জানান,হাসপাতাল বন্ধের কোন নির্দেশনা দেয়া হয়নি কাজ করার জন্য সাইনবোর্ড খুলে নিচে দেয়া হয়েছে। এলাকাবাসী জানান,সরকারী নিদের্শে সাইনবোর্ড খুলে দিলেও তারা বাইরে সাইনবোর্ড দিয়ে প্রতারনা করে আসছে। অনতি বিলম্বে চক্ষু হাসপাতাল বন্ধে সরকারী ব্যবস্থা না নিলে যেকোন মুহুর্তে বিভিন্ন স্থানের পাওনাদার ও প্রতারিত রোগীদের হাতে আবারও গনধোলাই সহ বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনার আশংকা রয়েছে।