ভূরুঙ্গামারী(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে করোনা ভাইরাসের গুজবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে চাল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রবের মূল্য অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও বাজারে হঠাৎ করে চাল, রসুন, পিঁয়াজ সহ অন্যান্য পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে স্বল্প ও নিম্ন আয়ের ক্রেতারা ।
চালের মূল্য বৃদ্ধির জন্য মিলারদের কারসাজিকে দায়ী করছেন পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা।, শুধু মিলারদের কারসাজি নয়, সঠিক তদারকির অভাবকেও দায়ী করছেন ভূক্ত ভোগীরা । এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে।অপর দিকে পিঁয়াজ ও রসুনের দাম কেজি প্রতি ১০ থেকে২০ টাকা বেড়েছে।
শনিবার দুপুরে উপজেলার সবচাইতে বড় বাজার ভূরুঙ্গামারী হাটে গিয়ে দেখা যায় চাল কিনতে আসা নিলুফা ইয়াসমিন বলেন,৫০ কেজির একটি চালের বস্তায় তার পরিবারের এক মাস চলে । গত মাসে ৫০ কেজির এক বস্তা আঠাশ চাল কিনেছি ১৭৫০/- টাকায়। আজ সেটা কিনতে হলো ২২০০/- টাকায়। এক মাসের ব্যবধানে প্রতি বস্তায় ৪৫০/- টাকা বৃদ্ধি যা অস্বাভাবিক। কাচা বাজার ক্রেতা মমিনুর বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় পিঁয়াজ ও রসুনের দাম কেজিতে ১০ থেকে২০ টাকা বেড়েছে।
বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী কল্যান কুমার বলেন, বর্তমানে ২৫ কেজির এক বস্তা আঠাশ চাল মিল মালিকের কাছ থেকে ১০৫০/- টাকায় কিনতে হচ্ছে। যা অনেকেই ১১০০/- টাকায় বিক্রি করছেন। কাঁচাবাজারের খুচরা ব্যবসায়ী হামিদ বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় আমরা বেশী দামে পণ্য কিনেছি তাই বেশী দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
চাল ও অন্যান্য পণ্যের দাম যাতে না বাড়ে সেজন্য বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে সঠিক তদারকির দাবী জানিয়েছেন ভূক্তভোগীরা।
ভূরুঙ্গামারীর মেসার্স মা অটো রাইস মিলের মালিক জাবেদ আলী মন্ডল এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, ধানের দাম বেশি হওয়াতে চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি মণ মোটা ধান কিনতে হচ্ছে ৯০০ টাকা থেকে ৯২০ টাকা । আঠাশ চিকন ধান ১২০০ টাকাতেও পাওয়া যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরুজুল ইসলাম বলেন, আমি ইতোমধ্যে বাজার পরিদর্শনে বেড়িয়েছি। অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রি করায় ৮ ব্যবসাযীকে ৩১হাজার ৫শত টাকা জরিমানা করা হয়েছে।।