ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ফেন্সিডিল ও গাঁজা উদ্ধারের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মঙ্গলবার (১১ জুন)আরো এক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃত ব্যক্তির নাম শফিকুল ইসলাম (৪৬)। সে জয়মনিরহাট ইউনিয়নের ছোটখাটামারী গ্রামের মৃত কাশেম আলীর পুত্র এবং ভূরুঙ্গামারী সদরের গার্লস স্কুল মোড়ে অবস্থিত মদিনা কসমেটিকস এর স্বত্বাধিকারী। উল্লেখ্য, গত শনিবার (৮ জুন) পুরাতন থানা পাড়া এলাকায় ব্যবসায়ী এমদাদুল হক পাবেলের বাসা থেকে পুলিশ দু’দফা অভিযান চালিয়ে ১৬০ বোতল ফেন্সিডিল ও ২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে। পরে ঐদিন রাতেই পুলিশ এমদাদুল হক পাবেল ও শফিকুল সহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে। অবশ্য মাদক দ্রব্য আটকের পর থেকে এমদাদুল হক পাবেলের পরিবার থেকে দাবী করা হচ্ছিল আটককৃত শফিকুল ঐ বাসায় ভাড়া নিয়ে গুদাম হিসাবে ব্যবহার করে আসছিল। অনুসন্ধানে জানাগেছে, জয়মনিরহাটের ভারতীয় সীমান্তবর্তী শিংঝাড় গ্রামের দু’ব্যক্তি, জয়মনির হাটের রেল লাইনে বসবাসকারী এক ব্যক্তি এবং গছিডাঙ্গার এক ট্রলি ড্রাইভার এবং যাত্রাপুরের এক নৌকা মাঝির সম্বন্বয়ে গঠিত চোরাকারবারী দলটি র্দীর্ঘদিন থেকে ভারত থেকে মাদক দ্রব্য এনে স্থল ও নৌপথে দেশের অভ্যন্তরে পাচার করতো। জানাগেছে বিশেষ কায়দায় ডিমের খাচায় এবং রাইস কুকারের প্যাকেটে এসব মাদক পাচার করা হতো। স্থলপথে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে মাদক পাঠানো হতো। সেখানে প্রাপকের ঠিকানায় এদের ব্যবহৃত দুটি গোপন মোবাইল নম্বর ব্যবহার করা হতো। এবং মাল পৌছলে তারা ঐ নম্বর দেখিয়ে মালামাল উত্তোলন করে নির্দিষ্ট পার্টির কাছে বিক্রি করতো। ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ রুহুল আমিন জানান, আটককৃত ব্যক্তি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাদক পাচারের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাকে জবান বন্দী প্রদানের জন্য কুড়িগ্রাম কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। পাবেলকে গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে। তাকে আটক করতে পারলে প্রকৃত রহস্য বের করা সম্ভব হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *